Home LATEST NEWS bangla সর্বশেষ সংবাদ ‘প্রভাবশালীদের গোপন পাসপোর্ট’

‘প্রভাবশালীদের গোপন পাসপোর্ট’

1
0

Source : BBC NEWS

পত্রিকা

১৪ মিনিট আগে

খবরে বলা হয়েছে, অখ্যাত কয়েকটি ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্রের পাসপোর্ট প্রকল্পে দুহাতে টাকা ঢালছেন বাংলাদেশি কোটিপতিরা।

তাদের মধ্যে অনেকে পেয়েও গেছেন এসব পাসপোর্ট।

বিনিয়োগকারীদের মধ্যে রাজনীতিবিদ ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ছাড়াও আছেন সরকারি-বেসরকারি সেক্টরের প্রভাবশালীরা।

তবে বিদেশি পাসপোর্ট প্রকল্পে বিনিয়োগের পুরোটাই পাচার হচ্ছে-এমন সন্দেহ করে দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। এমনকি এ নিয়ে কয়েক দফা বৈঠকে বসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এ ধরনের পাসপোর্ট গ্রহীতাদের তালিকা তৈরির সিদ্ধান্ত নিলেও পরে বিষয়টি আর বেশিদূর এগোয়নি।

প্রতিবেদনটিতে এভাবে পাসপোর্ট নেয়া এবং পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা কয়েকজন রাজনীতিবিদ ও ধনাঢ্য ব্যক্তির নামও দেয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ক্যারিবীয় কয়েকটি দ্বীপরাষ্ট্রের পাসপোর্টে ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের বহুদেশে ভিসামুক্ত চলাচলের সুবিধা রয়েছে।

এ কারণে কোটি টাকা বিনিয়োগে এসব দেশের পাসপোর্ট নিচ্ছেন অনেকে। এর মধ্যে গড়ে এককালীন দেড় থেকে দুই লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগে নাগরিকত্বসহ পাসপোর্ট দেয় অ্যান্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডা, ডমিনিকা ও ভানুয়াতুর মতো কয়েকটি ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র।

এমনকি কয়েকটি দেশ সরাসরি তাদের জাতীয় উন্নয়ন তহবিলে অর্থ জমা নেয়। আবার কয়েকটির আবাসন প্রকল্পে বিনিয়োগের ৩ থেকে ৫ মাসের মধ্যেই নাগরিকত্ব মেলে।

পত্রিকা

বেশ কয়েক বছর ধরেই সরকারের ঋণ বাড়ছে। স্থানীয় ও বিদেশি দুই উৎস থেকেই বাড়ছে ঋণ নেয়ার পরিমাণ, সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সুদ পরিশোধের ব্যয়ও।

অন্যদিকে লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে রাজস্ব আয় হচ্ছে না। ফলে পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয় নির্বাহ করতে গিয়ে টানাটানির মধ্যে পড়তে হচ্ছে সরকারকে।

অর্থ সংকটের কারণে সার ও বিদ্যুৎ খাতের ভর্তুকির অর্থ পরিশোধে বিশেষ ট্রেজারি বন্ড ইস্যুর ফর্মুলায় যেতে হয়েছে।

সব মিলিয়ে ঋণ ব্যবস্থাপনায় সরকারের বিদ্যমান নীতি ক্রমেই উপযোগিতা হারানোয় নতুন করে কৌশল প্রণয়ন করতে চাইছে সরকার, এমনটাই বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।

এতে আরও বলা হয়েছে, কৌশল প্রণয়নে সহায়তা করতে এ মাসেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ কারিগরি টিম বাংলাদেশে আসছে।

এর আগে বাংলাদেশ দুটি মধ্য মেয়াদি ঋণ ব্যবস্থাপনা কৌশল প্রণয়ন করেছে।

প্রথমটি করা হয় ২০১৩-১৪ থেকে ২০১৫-১৬ অর্থবছর মেয়াদের জন্য। ২০২১-২২ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জন্য প্রণয়ন করা হয় দ্বিতীয় ঋণ ব্যবস্থাপনা কৌশল, যার মেয়াদ আগামী জুনেই শেষ হচ্ছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, ডলার ও টাকার সংকটের কারণে বর্তমানে সরকারের মূল মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ঋণ ব্যবস্থাপনা।

আবার চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোকে সচল রাখতে ঋণ নিতেই হবে।

অন্যদিকে ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পর ছাড়কৃত হারে ঋণ পাওয়ার সুযোগও বাংলাদেশের জন্য কমে আসবে।

ছাড়কৃত হারে ঋণ প্রাপ্তির পরিমাণ এখনই কমে গেছে। এ অবস্থায় নতুন করে ঋণ ব্যবস্থাপনা কৌশল প্রণয়ন করাটা জরুরি হয়ে পড়েছে।

এক্ষেত্রে সরকারের পরিকল্পনা হচ্ছে প্রতি বছরের বাজেটের সঙ্গে তৈরি করা হবে ঋণ ব্যবস্থাপনা কৌশল।

এদিকে ১৮ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ কারিগরি দল বাংলাদেশ সফর করবে।

ঋণ ব্যবস্থাপনা কৌশল প্রণয়নে অর্থ মন্ত্রণালয়কে সহায়তা করবে দলটি।

পত্রিকা

এতে বলা হয়েছে, ব্যাংকিং খাত সংস্কারের জন্য প্রায় এক ডজন নির্দেশনামূলক প্রমোট কারেক্টিভ অ্যাকশন (পিসিএ) নামক বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ফলে প্রভাবশালী ঋণখেলাপিদের আর ছাড় দেয়া হবে না।

ইতোমধ্যে দুর্বল হয়ে পড়া ব্যাংকগুলো আগামী এক বছরের মধ্যে উন্নতি করতে না পারলে তাদের ওপরও দেয়া হবে নানা নিষেধাজ্ঞা।

বুধবার বিকেলে ব্যাংকার্স সভায় এসব কর্মসূচির বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে ব্যাংকারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হককে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, গত ডিসেম্বরে ব্যাংকগুলোকে সংস্কারের জন্য প্রমোট কারেক্টিভ অ্যাকশন (পিসিএ) ঘোষণা করেছি।

সেখানে সংস্কারের ক্ষেত্রে কীভাবে ব্যাংকগুলোর অবস্থান নির্ণয় করা হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট বর্ণনা দেয়া আছে।

চলতি বছরের (২০২৪) ডিসেম্বর প্রান্তিকের হিসাব ধরে আগামী বছরের (২০২৫) মার্চ নাগাদ ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা শুরু হবে।

এজন্য ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের ব্যক্তিগতভাবে ব্যাংকের আর্থিক অবস্থার প্রতি দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে।

আর যেসব ব্যাংকের অবস্থা একেবারেই দুর্বল তাদের ঋণ বিতরণ, আমানত সংগ্রহ থেকে শুরু করে কার্যক্রমের ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।

আবার কোনো কোনো দুর্বল ব্যাংককে একে অপরের সাথে একীভূত (মার্জার) করেও দেয়া হতে পারে।

তবে এই সময়ের মধ্যে ব্যাংকগুলো যদি তাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি করতে পারে তাহলে তো কোনো ব্যাংকের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা আসবে না।

সম্প্রতি ঘোষিত সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদন বাংলাদেশ ব্যাকের এই মুখপাত্র বলেন, টার্গেট বাস্তবায়ন পর্যন্ত এই ধরনের মুদ্রানীতি অব্যাহত থাকবে। সেক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর আর্থিক সঙ্কট দেখা দিতে পারে।

এজন্য তাদেরকে আগে থেকেই সতর্ক থাকতে বলা হয়, যাতে তারা তারল্য ব্যবস্থাপনা ঠিক মতো করতে পারে।

দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যাংকের সুশাসন ফেরাতে চায়। এজন্য আইনি প্রক্রিয়ায় মার্জার অ্যাকুয়েজেশন করা হয়। আগামীতে সে বিষয়গুলোর চর্চা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

পত্রিকা

মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের ফলে বাংলাদেশ সীমান্তে নেয়া সতর্কতার বিষয়ে খবরটিতে বলা হয়েছে, রাখাইন রাজ্যে স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) এবং দেশটির সেনাবাহিনীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ চলছে। এতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সীমান্ত পরিস্থিতি।

এ সংঘর্ষের জেরে রাখাইনের সীমান্ত এলাকা বাংলাদেশের তুমব্রু ও টেকনাফের কাছাকাছিতে মিয়ানমারের হেলিকপ্টার মহড়ার ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা বাড়িঘর ছেড়ে পালাচ্ছেন।

ওপারের অধিবাসীরা ভারতসহ বাংলাদেশে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করছেন। এতে বাংলাদেশ সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকার ঘুমধুম, উখিয়ার সীমান্তের আনজুমান পাড়া ও টেকনাফ সীমান্ত পথ দিয়ে আবারো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ কারণে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এবং নাফ নদী এলাকায় রোহিঙ্গাদের সম্ভাব্য প্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি সর্বাত্মক সতর্ক অবস্থান নিয়েছে।

পত্রিকা

ছবির উৎস, Getty Images

দেশ রূপান্তর পত্রিকার প্রধান খবর ‘চোখ রাঙাচ্ছে গ্যাস পানি বিদ্যুৎ’-এ বলা হয়েছে, ভয়াবহ গ্যাস সংকটের পাশাপাশি নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ ও সুপেয় পানির আকালের মধ্যেই অতি নিত্যপ্রয়োজনীয় এই তিন পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

পাশাপাশি জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করা হবে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।

এছাড়াও গত ১৪ বছরে ১২ দফায় গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে অন্তত ১২১ শতাংশ।

আর পাঁচ দফায় গড়ে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১৭৫ শতাংশ।

পরিবহন খাতের সিএনজির দাম বেড়েছে ছয় দফা।

এছাড়া ডিজেলের দাম বেড়ে প্রায় ২৩৭ শতাংশ আর অকটেন ও পেট্রোলের দাম প্রায় ১৬৯ শতাংশে পৌঁছেছে। অন্যদিকে ঢাকা ওয়াসা পানির দাম বাড়িয়েছে ১৪ বার।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে গণশুনানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করার একক ক্ষমতা ছিল বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি)।

সেখানে দাম বৃদ্ধির পক্ষে-বিপক্ষে নানারকম যুক্তি-তর্ক হতো। ফলে ইচ্ছেমতো দাম বৃদ্ধির সুযোগ ছিল তুলনামূলক কম।

কিন্তু গত বছর থেকে সরকার নির্বাহী আদেশে দাম বৃদ্ধির জন্য আইন করে। এরপর গণশুনানি ছাড়াই গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম তিন দফায় ১৫ শতাংশ এবং গ্যাসের দাম ১৭৯ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

এবারও একই কায়দায় গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভর করে আগামী এপ্রিল থেকে ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেনের মূল্য সমন্বয় করারও প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার।

সে ক্ষেত্রে দাম বাড়তেও পারে, আবার কমতেও পারে। তবে ডিজেলের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে দেশ রূপান্তরের প্রতিবেদনে।

পত্রিকা

অভিবাসনবিষয়ক গবেষণা সংস্থা রামরুর বার্ষিক প্রতিবেদন নিয়ে প্রধান শিরোনাম করেছে কালের কণ্ঠ।

‘অভিবাসনে রেকর্ড, রেমিট্যান্সে ধীরগতি’, এই খবরটিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিদেশে কাজ করার উদ্দেশ্যে যাওয়া কর্মীর সংখ্যা গত এক বছরে ১৩ শতাংশ বেড়েছে। তবে সে তুলনায় রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়েনি।

পাশাপাশি ১৭৬টি দেশে কর্মী যাওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ছয়টি দেশে পর্যাপ্তসংখ্যক কর্মী গেছেন।

সংস্থাটির বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৩ সালে মাত্র ২.৮৮ শতাংশ রেমিট্যান্সের হার বেড়েছে।

অভিবাসনসংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ার অন্যতম কারণ ছিল কোভিড-১৯ পরবর্তী প্রভাব।

কোভিডকালে ২০২০ ও ২০২১ সালে যেসব অভিবাসী বিদেশ যেতে পারেননি, তারা ২০২২ ও ২০২৩ সালে অভিবাসন করেছেন।

প্রতিবেদন প্রকাশের সময় অভিবাসন গতির সঙ্গে রেমিট্যান্সের হার বৃদ্ধি না পাওয়ার কারণ হিসেবে রামরুর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপার্সন ড. তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা আমাদের একটি গবেষণায় দেখেছি, গত বছর কাজ না পেয়ে তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে ১২ শতাংশের মতো কর্মী ফেরত এসেছেন।

তাহলে যে কর্মী ফেরত আসছেন বা সেখানে কোনো ধরনের কাজ পাচ্ছেন না, তিনি তো কোনো টাকা পাঠাতেও পারবেন না। ফলে যারা যাচ্ছেন তারাই যে টাকা পাঠাতে পারছেন, এটা সত্য নয়।

এছাড়া কোভিডের সময় মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্যান্য অভিবাসী গ্রহণকারী দেশে জনবল নেওয়া বন্ধ ছিল।

কোভিড-পরবর্তী সময় এসব চাকরির বাজারও উন্মুক্ত হয়েছে। পাশাপাশি সব ধরনের সৌদি প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ অভিবাসন বেড়েছে।

২০২২ সাল থেকে শুধু বাংলাদেশ নয়, দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিটি দেশ থেকেই অভিবাসনসংখ্যা বাড়ছে। উল্লিখিত বছরে নেপালে প্রবাসী কর্মী বাড়ার এই ঊর্ধ্বগতি ছিল ৩০০ গুণ বেশি।

তবে কমেছে নারী অভিবাসন। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে ১৭৬টি দেশে কর্মী যাওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ছয়টি দেশে উল্লেখযোগ্য কর্মী গেছেন।

এই ছয়টি দেশের মধ্যে ২০২৩ সালে সৌদি আরবে ৩৮.১২ শতাংশ, মালয়েশিয়ায় ২৬.৯৪ শতাংশ, ওমানে ৯.৮০ শতাংশ, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৭.৫৪ শতাংশ, কাতারে ৪.৩০ শতাংশ ও সিঙ্গাপুরে ৪.০৮ শতাংশ পুরুষ কর্মী গেছেন। বাকি ১৭০টি দেশে নামমাত্র কর্মী যাচ্ছেন।

পত্রিকা

‘চাঁদা দিলে নিরাপদ, না দিলে হামলা’– রাজধানীর অপরাধ বিষয়ে প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবরটিতে বলা হয়েছে, ব্যবসা থেকে শুরু করে ভবন নির্মাণ পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে চাঁদা দেয়া রাজধানীর কিছু এলাকায় রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ডিএমপির বরাত দিয়ে ঢাকার মিরপুর, ওয়ারী, তেজগাঁও এবং লালবাগে বেশি চাঁদাবাজি হয় বলে খবরে বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে বছর বছর বাড়ছে মামলার সংখ্যা। ২০২০ সালে যেখানে ১৮টি মামলা হয়েছিল, ২০২১ সালে হয়েছে ২২টি এবং ২০২২ সালে ৫৯টি। তবে ২০২৩ সালের আলাদা কোনো হিসাব রাখেনি পুলিশ।

পত্রিকাটির প্রথম পাতার আরেকটি খবর ‘মন্ত্রী না হয়েও মন্ত্রিপাড়ার বাংলোয় বাস’

আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ সরকারি পদে না থেকেও পাঁচ বছর ধরে মন্ত্রিপাড়ার একটি বাংলোয় বাস করছেন বলে খবরে বলা হয়েছে।

২০১৬ সালে বাংলোবাড়িটি তিনি বরাদ্দ পান। ২০১৮ সালের পর থেকে তিনি আর প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী নেই। তবুও বাংলো ছাড়েননি বলে এতে উল্লেখ করা হয়।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এ নিয়ে তার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর অবৈতনিক বিশেষ সহকারী দাবি করে ফোন কেটে দেন তিনি।

তবে সরকারের সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রধানমন্ত্রীর অন্য বিশেষ সহকারীদের নামের সঙ্গে তার নাম পাওয়া যায়নি।

‘ভোজ্য তেলের চাহিদার ৪০ ভাগ সরিষা দিয়ে পূরণ করার টার্গেট’– দৈনিক ইত্তফাকের প্রধান শিরোনাম এটি।

খবরে বলা হয়েছে, ভোজ্য তেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে ৩ বছর মেয়াদী কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

আর সে লক্ষ্যে ২০২৫ সালের মধ্যে চাহিদার ৪০-৫০ শতাংশ সরিষার তেল দিয়ে মেটানোর কথা জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

আর এই লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে গত বছর থেকেই সরিষার চাষ বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

ইতিমধ্যে কৃষিবিভাগ ১২ লাখ কৃষককে বীজ, সারসহ নানামুখী প্রণোদনা দিয়েছে, যাতে কৃষকরা সরিষা আবাদে আগ্রহী হয়।

কৃষি গবেষকরা বলছেন, সরিষার তেলের কোনো ক্ষতিকর দিক নেই।

আরও পড়তে পারেন:

দেশের নদী থেকে প্রতিদিন ৫৪৭ টন মাছ ধরা হয়। অথচ শুধু পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা থেকে প্রতিদিন ৭৩ হাজার টন প্লাস্টিক আসে।

বুধবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে বাংলাদেশ সাসটেইনেবিলিটি অ্যালায়েন্স (বিএসএ) আয়োজিত ‘প্লাস্টিক এবং পরিবেশ’ বিষয়ে সংলাপে মূল প্রবন্ধে এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

প্রবন্ধে বেলার প্রধান নির্বাহী বলেন, ২০০৫ সালে দেশে বছরে জনপ্রতি প্লাস্টিকের ব্যবহার ছিল ৩ কেজি। ২০২০ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ কেজি।

একটা প্লাস্টিক বোতল ১ হাজার বছর, পলিব্যাগ ৪৫০ বছর ও প্লাস্টিকের স্ট্র ৭০০ বছর টিকে থাকতে পারে।

বিশ্বে প্রতিবছর ১ কোটি ২০ লাখ টন প্লাস্টিক বিভিন্ন সমুদ্রে যাচ্ছে। আর প্লাস্টিক দূষণের কারণে প্রতিবছর এক লাখ সামুদ্রিক প্রাণী মারা যাচ্ছে।

এর আগে ২০০২ সালে বাংলাদেশ বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ করে। এর দুই বছরের মধ্যে বাজারগুলো প্রায় পলিথিনমুক্ত করে ফেলা হয়।

তবে উদ্যোগ, ব্যবস্থা সেখানেই শেষ। এর পর আবারও রাজত্ব শুরু এ ব্যাগের। এ নিয়ে সরকারও উল্টো পথে হাঁটছে। পলিথিন এখন বৈধ পণ্যের মতোই ব্যবহার হচ্ছে হরদম।

দেশে প্রতিদিন ৩ হাজার কারখানায় ১ কোটি ৪০ লাখ পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকায় একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করা হলেও ব্যবহার বেড়েছে ব্যাপক হারে।

ব্যবহারের পর যত্রতত্র ছুড়ে ফেলা প্লাস্টিক সময়ের সঙ্গে ক্ষয় হয়ে মাইক্রোপ্লাস্টিকে রূপান্তরিত হয় (দৈর্ঘ্যে ৫ মিলিমিটারের চেয়েও ছোট) এবং পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে মানুষ ও বাস্তুতন্ত্রের উল্লেখযোগ্য ঝুঁকির সৃষ্টি করে।

প্রাকৃতিক পরিবেশে দিনের পর দিন থেকেও এর কোনো ক্ষয় হয় না এবং এটি আমাদের খাদ্যচক্রে ঢুকে পড়েছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মায়ের বুকের দুধে প্রথমবারের মতো মাইক্রোপ্লাস্টিক শনাক্ত করেছেন ইতালির বিজ্ঞানীরা। এতে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তাদের আশঙ্কা, এর মধ্য দিয়ে নবজাতকের স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে।

তবে তারা মনে করেন, মাইক্রোপ্লাস্টিকজনিত ঝুঁকির তুলনায় শিশুর জন্য মায়ের দুধের উপকারিতা বেশি।