Source : BBC NEWS

২ ঘন্টা আগে
এ সংবাদে বলা হয়েছে, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে করা ২০৩টি মামলা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
পুলিশের একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদপত্রটি এ খবর প্রকাশ করেছে।
আগামী তিন মাসের মধ্যে এসব মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে সংবাদে।
এ জন্য থানাগুলোতে তদন্ত শুরু হয়েছে, দেওয়া হবে চূড়ান্ত প্রতিবেদন।
যেসব মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর নিষ্পত্তি হবে আদালতের মাধ্যমে।
২০১৩ সালের পাঁচই মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ঘটনায় রাজধানী ঢাকাসহ সাত জেলায় ৮৩টি মামলা করা হয়।
এসব মামলায় তিন হাজার ৪১৬ জনের নাম উল্লেখসহ ৮৪ হাজার ৯৭৬ জনকে আসামি করা হয়।
এর মধ্যে দুটি মামলার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। ১৮টি মামলার অভিযোগপত্র দিলেও এগুলোর বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি।
হেফাজতের নেতারা বলছেন, রাজনৈতিকভাবে তাদের নিয়ন্ত্রণ করতেই মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে।
তাদের দাবি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) মামলাগুলো প্রত্যাহারের আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তা হয়নি। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর আশার আলো দেখছেন তারা।
পুলিশ সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, কিছু পুলিশ কর্মকর্তা সরকারের মন জোগাতে এসব মামলা করেছিলেন। এখন আর হয়রানির জায়গা নেই। মামলা প্রত্যাহারের নির্দেশনা এসেছে।

এ খবরে বলা হয়েছে, আমদানিতে লাগাম টানার চড়া মূল্য দিচ্ছে দেশের শিল্প খাত। রিজার্ভের পতন ঠেকাতে আমদানিতে লাগাম টেনেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা দীর্ঘ সময় অব্যাহত ছিল।
এতে মূলধনী যন্ত্রপাতি, শিল্পের কাঁচামাল ও মধ্যবর্তী পণ্য আমদানি কমেছে। এর অর্থ হলো বিনিয়োগ কম হচ্ছে।
উদ্যোক্তারা বলছেন, আমদানি কমিয়ে ডলার বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা অর্থনীতির জন্য হিতে বিপরীত হয়েছে।
ডলার সংকটে কাঁচামাল আনতে না পেরে, চড়া মূল্য দিয়েও নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি না পেয়ে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
কোনো কোনো কারখানা সক্ষমতার অর্ধেক কার্যক্রম চালাচ্ছে। ফলে সময়মতো ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় খেলাপিতে পরিণত হয়ে পড়ছেন ভালো ঋণগ্রহীতারাও।
এমন পরিস্থিতিতে গভীর সংকটের মুখে পড়েছে বেসরকারি খাত।
দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি, রাজস্ব, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান – সব নিম্নমুখী ধারায় রয়েছে।
ব্যবসা-বাণিজ্যের স্থবিরতায় সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এমন পরিস্থিতি সরকারি – বেসরকারি উভয় খাতের জন্যই উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা ও অন্যান্য অগ্রাধিকার বিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান বলেছেন, মানবিক করিডোরের নামে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে মিয়ানমারের সাথে কোনো প্রক্সি যুদ্ধে বাংলাদেশ জড়াবে না। এটা নিয়ে যা প্রচার করা হচ্ছে, তা নিছকই অপতথ্য ও গুজব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ মিয়ানমারের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশটিতে নতুন করে অস্থিতিশীলতা তৈরি হোক, এমন কিছুই বাংলাদেশ করবে না। এ ব্যাপারে মিয়ানমারকে আশ্বাস্ত করা হয়েছে।
গতকাল বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের (এএফডি) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন: আঞ্চলিক নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ও ভবিষ্যৎ’ বিষয়ক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
মানবিক করিডোর’ ইস্যুতে সাম্প্রতিক বিতর্ক প্রসঙ্গে খলিলুর রহমান বলেন, “এটি কোনো করিডোর নয়। আমরা শুধু মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে একটি ‘চ্যানেল’ গঠন নিয়ে আলোচনা করেছি।”
“করিডোর আর চ্যানেল এক বিষয় নয়। মানবিক চ্যানেল বাস্তবায়িত হলে তা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে এবং শুধু ত্রাণ ও খাদ্য সহায়তা পৌঁছাতে ব্যবহৃত হবে” বলেন তিনি।

এ খবরে বলা হয়েছে, নির্বাচন সামনে রেখে তৎপর হয়ে উঠেছে নামসর্বস্ব অনেক রাজনৈতিক দল। এসব দলের কোনোটিরই নেই কার্যকরী কমিটি। কোনোটি আছে শুধুই কাগজে-কলমে।
আবার কোনো দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় তো দূরের কথা, সাইনবোর্ড পর্যন্ত নেই।
আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে নির্বাচন কমিশনে এখন পর্যন্ত নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে ৬৫টি রাজনৈতিক দল।
এর মধ্যে অনেক রাজনৈতিক দলই গঠিত হয়েছে গত বছর পাঁচই অগাস্টের পর।
এসব দলের অফিস ও ঠিকানা, সাংগঠনিক কার্যক্রম খুঁজে বের করা এবং নথি-সংবলিত সব ধরনের তথ্য যাচাই- বাছাই করতে মাঠে নেমেছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা।
গত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ইসির কাছে আবেদন করেও নিবন্ধন পায়নি ৮৭টি দল। তারাও তাদের আবেদন পুনর্গঠনের জন্য ইসিকে অনুরোধ জানিয়েছে।
বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫৫টি।

শেষ মুহুর্তে পরিবর্তন করা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বাংলাদেশে ফেরার দিন।
যদিও এর আগে সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছিল। বাংলাদেশ বিমানের নিয়মিত ফ্লাইটে লন্ডন থেকে সিলেট হয়ে ঢাকায় আসার কথা ছিল মিজ জিয়া ও তার সফরসঙ্গীদের।
কিন্তু শনিবার রাতে খবর আসে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে নয় কাতারের আমীরের দেওয়া বিশেষ এয়ার এম্বুলেন্সে দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
সোমবার নয়, মঙ্গলবার সকালে তিনি ঢাকা পৌঁছাবেন।
কাতারের আমীরের পাঠানো বিশেষ এয়ার এম্বুলেন্সে করেই খালেদা জিয়া লন্ডনে গিয়েছিলেন চিকিৎসা নিতে।
ফেরার জন্য এই এয়ার এম্বুলেন্সটি পেতে বিএনপি’র পক্ষ থেকে আগে থেকেই যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু সম্ভাব্য তারিখে এর শিডিউল নিয়ে জটিলতা ছিল।
এ কারণেই বিমানের ফ্লাইটে ফেরার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হয়। তবে এই ফ্লাইটের নিরাপত্তা নিয়ে শুরু থেকেই ছিল নানা শঙ্কা।
যে কারণে প্রস্তুতি নিলেও বিকল্প নিয়ে ভাবছিলেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ। পাশাপাশি বিমানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রস্তুতি চলে।
নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টরা খোঁজ নিয়ে দেখতে পান, যে ফ্লাইটে খালেদা জিয়া ঢাকা ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সেই ফ্লাইটের অন্তত দুই জন কেবিন ক্রু’র বিষয়ে সংশয় রয়েছে।
রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে তাদের সন্দেহের মধ্যে রাখা হয়।
বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শুক্রবার রাতে কেবিন ক্রু আল কুবরুন নাহার কসমিক ও মো. কামরুল ইসলাম বিপনকে ফ্লাইটের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান জানিয়েছেন, ‘মানবিক করিডর’ কিংবা অন্য কিছু নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে কোনো চুক্তি হয়নি।
তিনি বলেছেন, “আমরা মানবিক করিডর নিয়ে কোনো আলোচনা করিনি। আমরা মানবিক করিডর কিংবা অন্য কিছু নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে এখনো কোনো চুক্তি করিনি।”
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহায়তা পৌঁছাতে মানবিক করিডর নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন ও গণমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এ কথা জানান। গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীতে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের অডিটরিয়ামে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ক এক সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে তিনি বক্তব্য দেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গত ২৭শে এপ্রিল সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে রাখাইনে মানবিক সহায়তার বিষয়ে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন।
তার ওই বক্তব্যের সপ্তাহ না পেরোতেই সরকারের ভিন্ন অবস্থানের কথা জানালেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান।

এ খবরে বলা হয়েছে, দেশে জনসংখ্যার অনুপাতে বাড়ছে না খাদ্যশস্যের উৎপাদন।
কৃষিজমি হ্রাস, উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণের অভাব, কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি এবং সে অনুপাতে কৃষক আয় করতে না পারাসহ নানা কারণ কৃষি উৎপাদনে প্রভাব ফেলছে।
আর তাতে গত কয়েক বছর দেশের কৃষি খাত এক প্রকার অচলায়তনে রূপ নিয়েছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে বড় ধাক্কা লাগতে পারে দেশের খাদ্য ব্যবস্থাপনায়। সর্বশেষ পাঁচ বছরে আবাদকৃত জমির পরিমাণ কমেছে প্রায় দুই শতাংশ।
এভাবে প্রতি বছরই কৃষিজমির পরিমাণ কমছে। এর বিপরীতে পাঁচ বছরে হেক্টর প্রতি ফলন বেড়েছে কেবল চার শতাংশ। আর চাল উৎপাদন মাত্র দুই শতাংশ বেড়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের দুই-তিন ফসলি জমি নানাভাবে অকৃষিকাজে ব্যবহার হচ্ছে। অথচ আইনে কৃষিজমিকে অন্য কাজে ব্যবহারের সুযোগ নেই।
কিন্তু সে আইনের কোনো বাস্তবায়ন দেখা যাচ্ছে না। আর কৃষকের ন্যায্যমূল্যও বাজারের ওপর ছেড়ে দিলে হবে না।
সরকারকে উদ্যোগী হয়ে মূল্য সহায়তা দিতে হবে। কেননা সিন্ডিকেটের সঙ্গে কৃষক পেরে ওঠেন না। এতে পরের বছর একই পণ্য উৎপাদনের উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন তারা।

‘Border killing by BSF on rise’ দ্য নিউ এইজ পত্রিকার প্রথম পাতার এ শিরোনামের অর্থ ‘ সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক হত্যা বাড়ছেই’।
এ খবরে বলা হয়েছে, সীমান্তবর্তী এলাকায় বাংলাদেশিদের হত্যা অব্যাহত রেখেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। ভারত বারবার সীমান্তে হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিলেও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে নিহতের সংখ্যা বেড়েছে।
এ বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বিএসএফের গুলিতে কমপক্ষে ১১ জন বাংলাদেশি নিহত এবং মারধরের ঘটনায় ২৩ জন আহত হয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ৩০ শে এপ্রিল পর্যন্ত নিহতদের মধ্যে কেবল এপ্রিল মাসে পাঁচ জন, মার্চ মাসে তিন জন, ফেব্রুয়ারিতে এক জন এবং জানুয়ারিতে দুই জন নিহত হয়েছেন।
পাঁচই অগাস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর ২০২৪ সালের নভেম্বর ছাড়া প্রতি মাসেই ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ কর্তৃক সীমান্তে হত্যাকাণ্ড চলছে।

‘Democracy can’t do without a free press‘ দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার প্রথম পাতার এ শিরোনামের অর্থ ‘স্বাধীন সংবাদমাধ্যম ছাড়া গণতন্ত্র চলতে পারে না’।
গণতন্ত্র ও সুশাসনের জন্য অপরিহার্য স্বীকৃতি দিয়ে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে নিজেদের অঙ্গীকারের উপর জোর দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো।
একইসাথে এর অনুপস্থিতি ফ্যাসিবাদের দিকে নিয়ে যাবে বলে সতর্ক করেছে।
গণমাধ্যমকে কর্পোরেট বা অন্যান্য স্বার্থে ব্যবহার করা উচিত নয় উল্লেখ করে নৈতিক সাংবাদিকতার মূল্যবোধ বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব সংবাদপত্র স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “আমরা আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি যে আমরা সবসময় সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পক্ষে ছিলা ও ভবিষ্যতেও থাকবো। আমরা সরকারে থাকি অথবা না থাকি।”
