Home LATEST NEWS bangla সর্বশেষ সংবাদ ‘বহাল থাকছে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ, বাড়ছে করহার’

‘বহাল থাকছে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ, বাড়ছে করহার’

6
0

Source : BBC NEWS

পত্রিকা

২ ঘন্টা আগে

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটেও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকছে।

যদিও অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, ভবিষ্যতে এমন সুযোগ থাকবে না, তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বাজেটে সেই সুযোগ রেখেই প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে।

এবার কেবল স্থাপনা, ফ্ল্যাট, বাড়ি, জমি ইত্যাদি কেনার ক্ষেত্রে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ মিলবে এবং এতে করহার আগের তুলনায় সাত গুণ পর্যন্ত বাড়তে পারে। ‘

তবে নিবন্ধনের কর কিছুটা কমানো হতে পারে, যাতে বাজারমূল্যে দলিল রেজিস্ট্রেশন হয়।

১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত ২২ বার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে, তবে খুব কমই টাকা সাদা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সুযোগ অসাংবিধানিক, দুর্নীতিকে উৎসাহিত করে এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে বৈষম্য তৈরি করে।

তারা মনে করেন, যারা কর ফাঁকি দিয়ে সম্পদ অর্জন করেছেন, তারা সহজে বৈধতা পাচ্ছেন, অথচ সাধারণ করদাতারা নিয়ম মেনে চলেন।

এনবিআর জানায়, ঢাকার অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাট কেনার নামে যে দাম দেখানো হয়, তা অনেক সময় প্রকৃত মূল্যের একাংশ মাত্র।

এদিকে বাজেটে প্লাস্টিক কিচেনওয়্যার ও সিগারেট পেপারে কর বাড়ানোর প্রস্তাবও রয়েছে। বিশেষ করে বাণিজ্যিকভাবে আমদানিকৃত সিগারেট পেপারে শুল্ক দ্বিগুণ করা হচ্ছে।

আরও পড়তে পারেন
পত্রিকা

নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম ‘পদত্যাগ করছেন না ড. ইউনূস

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তিনি পদত্যাগ করছেন না। তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন না করে তিনি দায়িত্ব ছাড়বেন না।

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তিনি জানান, নির্বাচন, বিচার ও সংস্কার—এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কাজের মধ্যে নানা বাধা সৃষ্টি হচ্ছে, যা স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করছে।

তবে এসব প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও সরকার দায়িত্ব পালন চালিয়ে যাবে। তিনি বলেন, যদি পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যেখানে দায়িত্ব পালন অসম্ভব হয়ে পড়ে, তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়েই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

প্রেস সচিব জানান, অধ্যাপক ইউনূস ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি তার নেতৃত্বে নির্বাচনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।

রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন কমিশনের সংস্কারসহ নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির দাবিও জানিয়েছে।

আলজাজিরার এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, সরকারের ভেতর ঐক্যহীনতা এবং বাহ্যিক চাপ ক্রমশ অস্থিরতা বাড়াচ্ছে।

সেনাবাহিনী গুজব ও বিভ্রান্তির বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে এবং সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর দীর্ঘমেয়াদি বেসামরিক দায়িত্ব দেশরক্ষার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

সব মিলিয়ে, রাজনৈতিক সমঝোতা এবং স্থিতিশীলতার জন্য এক বৃহত্তর ঐক্য এখন সময়ের দাবি।

পত্রিকা

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জানিয়েছে, যদি সরকারকে অর্পিত দায়িত্ব পালনে কোনো বাধা তৈরি হয় এবং কাজ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে, তাহলে তারা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।

শনিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক থেকে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। সরকার বলেছে, বিচার, নির্বাচন এবং সংস্কার—এই তিনটি মূল দায়িত্ব পালনে নানা ধরনের বাধা ও ষড়যন্ত্র চলছে।

এসব বাধা সরকারের স্বাভাবিক কাজকে ব্যাহত করছে এবং জনমনে সন্দেহ তৈরি করছে।

সম্প্রতি গুজব ছড়িয়েছিল, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করতে চান। তবে উপদেষ্টারা জানান, তিনি এমন কিছু বলেননি এবং দায়িত্বে আছেন।

বৈঠকে জানানো হয়, সরকারের ওপর যেসব চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে, তা কোনো দলই সমর্থন করে না, বরং সব রাজনৈতিক দল একটি নির্দিষ্ট নির্বাচনের সময়সূচি চায়।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, সরকার তার দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট, তবে প্রতিবন্ধকতা আসছে এবং সেগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে।

তিনি রাজনৈতিক দল, প্রশাসন ও বিচার বিভাগের সহায়তা কামনা করেন। এদিকে বিএনপি ও কিছু দল কয়েকজন উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করলেও ওয়াহিদউদ্দিন বলেন, এসব দাবি দলীয় অবস্থান নয়।

সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের শক্তির ওপর ভিত্তি করে কাজ করছে এবং জনগণের সমর্থনেই এগোবে।

পত্রিকা

সমকালের প্রধান শিরোনাম, ‘পরিস্থিতি মোকাবিলার পক্ষে উপদেষ্টারা

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গতকাল অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উপদেষ্টারা মত দিয়েছেন, বর্তমান সংকটে সরকারকে দায়িত্ব পালন করে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে, এখনই পদত্যাগ করা উচিত নয়।

বৈঠকে উপস্থিত ১৯ জন উপদেষ্টা জানান, এখন পদত্যাগ করলে দেশে অস্থিতিশীলতা বাড়বে এবং সেই দায় বর্তাবে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের ওপর।

তারা বলেন, সংস্কার, বিচার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দায়িত্ব শেষ করা উচিত। অনেক উপদেষ্টা স্বীকার করেন, কিছু ভুল হয়েছে, তবে তা শুধরে নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

বৈঠকে আলোচনায় উঠে আসে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দূরত্ব কমিয়ে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানো দরকার।

এজন্য প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে একজন ফোকাল পারসন নিয়োগের পরামর্শও আসে।

এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্য বা পোস্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে উপদেষ্টারা আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ স্পষ্টভাবে বলেন, কেউ কোথাও যাচ্ছেন না। কাজ শেষ না করে উপদেষ্টারা দায়িত্ব ছাড়বেন না।

তিনি রাজনৈতিক দল, প্রশাসন, বিচার বিভাগসহ সকলের সহযোগিতা চান। সরকার জানায়, দায়িত্ব পালনে বাধা এলে সবকিছু জনগণের সামনে প্রকাশ করে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জুলাই অভ্যুত্থানের শক্তির ভিত্তিতে গঠিত সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

পত্রিকা

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গতকাল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) পৃথকভাবে বৈঠক করেছে।

তবে এই আলোচনায় কোনো দলই নির্দিষ্ট নির্বাচনের রোডম্যাপের আশ্বাস পায়নি। বিএনপি দাবি করেছে, ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে।

কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা শুধু বলেছেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে—এতে দলটি অসন্তুষ্ট।

বিএনপি লিখিতভাবে সংস্কার, বিচার ও নির্দলীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে এবং সরকারের কিছু উপদেষ্টার পদত্যাগও চেয়েছে।

জামায়াতও নির্বাচন ও সংস্কারের পৃথক রোডম্যাপ চায়। দলটির আমির বলেন, সব দলের অংশগ্রহণে একটি অর্থবহ নির্বাচন দরকার এবং তার আগে দৃশ্যমান সংস্কার প্রয়োজন।

তিনি প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যকে ইতিবাচক বললেও স্পষ্ট কোনো সময়সীমা পাননি।

অন্যদিকে এনসিপি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে হওয়া সব নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে।

দলটি আরও বলেছে, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন দিতে হবে এবং জুলাই গণহত্যা ও অন্যান্য ঘটনার বিচারসহ একটি সমন্বিত রোডম্যাপ প্রয়োজন।

রোববার প্রধান উপদেষ্টা আরো কয়েকটি দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে কথা রয়েছে।

পত্রিকা

দ্য ডেইলি স্টারের প্রথম পাতার খবর, ‘The story of Hamid’s exit‘ অর্থাৎ, ‘হামিদের দেশ ছাড়ার গল্প’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদের চুপিচুপি দেশত্যাগের ঘটনা নিয়ে নানা তথ্য সামনে এসেছে।

৮ই মে রাত ১২টা ৪৬ মিনিটে তার গাড়ি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালে পৌঁছায়।

সেখানে নিরাপত্তারক্ষী তাকে চিনে কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও, দুটি পরিচয়হীন ব্যক্তি গাড়িটিকে ঢুকতে ইশারা করে। ধারণা করা হচ্ছে, তারা কোনো গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য ছিলেন।

হামিদকে হুইলচেয়ারে করে টার্মিনালে নেওয়া হয়। তিনি তখন দুর্বল অবস্থায় লুঙ্গি ও স্যান্ডেল পরা ছিলেন।

ছেলে ব্যারিস্টার রিয়াদ আহমেদ পরে জানান, হামিদের শরীর খুব দুর্বল, ওজন মাত্র ৫৪ কেজি এবং ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়েছে।

নিরাপত্তা নিয়ম ভেঙে হামিদকে সরাসরি গেট ৩৩-তে নেওয়া হয়, যা শুধুমাত্র নিরাপত্তা কর্মীদের জন্য নির্ধারিত। সাধারণ যাত্রীরা সেখানে যেতে পারেন না। এই বিষয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিস্ময় প্রকাশ করেছে।

এদিকে তার ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকা কর্মকর্তাদের মধ্যে অনেককে বদলি বা বরখাস্ত করা হয়েছে। হামিদের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জে একটি হত্যা মামলাও রয়েছে।

এখন এই গোটা ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি কাজ করছে এবং প্রতিবেদন আগামী সপ্তাহে প্রকাশ হবে।

বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন
পত্রিকা

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, প্রায় তিন লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক মালয়েশিয়ায় ট্যুরিস্ট ভিসায় গিয়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।

অনেকেই দালালদের প্রলোভনে পড়ে লাখ লাখ টাকা খরচ করে ট্যুরিস্ট ভিসায় মালয়েশিয়া যান কাজের আশায়।

কিন্তু সেখানে গিয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে আটক হন অথবা অবৈধভাবে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হন।

কেউ কেউ বিমানবন্দরেই দিনের পর দিন আটকে থাকেন, খাবার পান না, বিশ্রামের সুযোগ নেই। মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন অনেককে ফেরত পাঠাচ্ছে আবার অনেককে জেলে পাঠাচ্ছে।

এমন প্রতারণায় জড়িত রয়েছে অন্তত ১০টি রিক্রুটিং ও ট্রাভেল এজেন্সি এবং একাধিক দালাল। তারা শ্রমিকদের কাছ থেকে তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত নেয়।

কিছু দালাল আবার কুয়ালালামপুরে স্থানীয় সংযোগ ব্যবহার করে শ্রমিকদের বিমানবন্দর থেকে বের করার চেষ্টা করে।

বৈধভাবেও যাওয়া অনেক শ্রমিক মালিকের প্রতিশ্রুতি না পেয়ে অন্য কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন, যা আবার মালয়েশিয়ার আইনে অবৈধ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমস্যা সমাধানে দুই দেশের সরকারকে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে কড়া নজরদারিতে আনতে হবে এবং প্রতারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

বৈধ পথে শ্রমিক পাঠানোর সুযোগ বাড়াতে হবে, যাতে কেউ আর দালালের খপ্পরে না পড়ে।

পত্রিকা

নিউ এইজের প্রথম পাতার খবর, ‘Kazi Nazrul Islam’s 126th birth anniv today‘ ‘কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী আজ’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষে বিভিন্ন সরকারি ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, টেলিভিশন ও রেডিও চ্যানেল নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা একাডেমি, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও শিল্পকলা একাডেমি অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।

কবির কবরের পাশে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, আলোচনা সভা, সংগীত, নৃত্য ও কবিতা আবৃত্তি অনুষ্ঠিত হবে।

কুমিল্লায় তিন দিনের বিশেষ অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে ‘২৪-এর গণজাগরণ: নজরুলের উত্তরাধিকার’ শিরোনামে। নজরুল পুরস্কার ২০২৩ ও ২০২৪ দেওয়া হবে এ আয়োজনে।

কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ই জ্যৈষ্ঠে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের চুরুলিয়ায়। তিনি ছিলেন বিদ্রোহী কবি, সংগীতজ্ঞ, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও সৈনিক।

তার কবিতা ও গান বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও গণআন্দোলনে মানুষকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। তার লেখা বিদ্রোহী কবিতা ও নজরুলগীতি আজও সমান জনপ্রিয়।

ব্রিটিশবিরোধী লেখালেখির কারণে তাকে কারাবরণ করতে হয়। কারাগারে থেকেও তিনি লিখে গেছেন প্রতিবাদের ভাষা।

পরবর্তীতে নানা অসুস্থতা ও স্মৃতিভ্রষ্টতার মধ্যেও জাতি তাকে ভালোবেসে সম্মান জানিয়েছে।

১৯৭২ সালে বাংলাদেশে এনে তাকে নাগরিকত্ব ও একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। ১৯৭৬ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদের পাশে সমাহিত হন।

পত্রিকা

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ আর সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতা ও উপবৃত্তি বিতরণের একচেটিয়া সুবিধা পাচ্ছে না।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, আগামী ১লা জুলাই থেকে উপকারভোগীরাই নিজে ব্যাংক বা এমএফএস প্রতিষ্ঠান বেছে নিতে পারবেন।

এর ফলে ‘নগদ’-এর মাধ্যমে বাধ্যতামূলকভাবে ভাতা নেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ হচ্ছে। এখন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও এ কাজে যুক্ত হতে পারবে।

এখন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও বিভিন্ন ভাতা মূলত ‘নগদ’-এর মাধ্যমেই দেওয়া হতো। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ‘নগদ’-এর চুক্তি ৩০শে জুন শেষ হচ্ছে এবং এটি নবায়ন না করার মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

২০১৯ সালে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে ‘নগদ’ চালু হয় এবং এটি দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়।

নয় কোটি গ্রাহকের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশই সরকারি ভাতা ও উপবৃত্তি পেতেন এই প্ল্যাটফর্মে। তবে সরকার পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক ‘নগদ’-এর নিয়ন্ত্রণ নেয়।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এখন থেকে উপকারভোগী নিজেই প্রতিষ্ঠান বেছে নেবে এবং টাকা তোলার ক্ষেত্রে দশমিত ৬০ শতাংশ হারে ক্যাশ আউট চার্জ কার্যকর হবে, তবে তাদের কাছ থেকে বাড়তি চার্জ নেওয়া যাবে না।

পত্রিকা