Home LATEST NEWS bangla সর্বশেষ সংবাদ একাধিক বিষয়ে দ্বিমত, ২২শে এপ্রিল ফের ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বসবে বিএনপি

একাধিক বিষয়ে দ্বিমত, ২২শে এপ্রিল ফের ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বসবে বিএনপি

5
0

Source : BBC NEWS

বৈঠক শেষে কথা বললেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ

ছবির উৎস, BNP Media Cell

সংস্কার প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে একাধিক বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেছে বিএনপি।

রোববার দ্বিতীয় দফায় কমিশনের সঙ্গে আলোচনা শেষে দলটির নেতারা জানিয়েছেন যে, অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে আগামী ২২শে এপ্রিল পুনরায় তারা পুনরায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন।

রোববার কমিশনের সঙ্গে বিএনপির যেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে ছিল একই ব্যক্তির একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী হওয়া-না হওয়া, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের ব্যবহার ইত্যাদি।

এর মধ্যে একই ব্যক্তি দু্ই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না বলে, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব রাখা হয়েছে, সেটির সঙ্গে একমত নয় বাংলাদেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি।

এর পরিবর্তে দলটির পক্ষ থেকে প্রস্তাব রাখা হয়েছে যে, একই ব্যক্তি পরপর দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। তবে দল চাইলে একবার বিরতি দিয়ে ওই একই ব্যক্তিকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী পদে বসাতে পাবরেন।

“আমাদের প্রস্তাব যেটা, সেটা হচ্ছে যে, নট মোর দেন দু কন্সিকিউটিভ টার্মস, অর্থ্যাৎ পরপর দুইবারের বেশি কেউ একজন প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। তার মানে দাঁড়াচ্ছে, যদি দুইবারের পর একবার গ্যাপ (বিরতি) হয়, তার পরবর্তীকালে যদি জনগণ নির্বাচন করে সেই পার্টিকে মেজরিটি পার্টি (সংখ্যাগরিষ্টের দল) হিসেবে; সেই পার্টি যদি ডিসাইড (সিদ্ধান্ত গ্রহণ) করে, তাহলে সেই একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী হতেও পারেন,” রোববার সাংবাদিকদের বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি আরও বলেন, “কিন্তু কথা হচ্ছে, কেন ধরে নিচ্ছেন যে, সেম লিডার ((একই নেতা) বা ব্যক্তি বার বার হবেন। আমরা তো এখানে অপশনটা (সুযোগ) রাখতে চাই যে, বাধ্যবাধকতা করা যাবে না।”

এদিকে, সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি ও সংসদের মেয়াদ চার বছর করার যে প্রস্তাব রাখা হয়েছে, সেটির সঙ্গেও দ্বিমত পোষণ করেছে বিএনপি।

“রাষ্ট্রপতির মেয়াদও পাঁচ বছর, সংসদের মেয়াদও পাঁচবছর; সব কিছুর বিষয়ে আমরা পাঁচ বছর মেয়াদের প্রাকটিসের (চর্চার) মধ্যে থাকতে চাই,” বলেন মি. আহমেদ।

এর বাইরে, নির্বাচনকালে বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকা জরুরি বলে মনে করে বিএনপি। তবে ওই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মনোনয়নের প্রক্রিয়ার বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে পুরোপুরি হতে পারেনি দলটি।

তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার না করার বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন বিএনপি নেতারা।

এছাড়া রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য প্রশ্নে সংবিধানের ৪৮ ধারায় নতুন উপধারা যুক্ত করে রাষ্ট্রপতিকে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষমতাকে আইনের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।

এসব বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করতে ২২শে এপ্রিল ফের ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বসবেন দলটির নেতারা।