Source : BBC NEWS

২ ঘন্টা আগে
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সরকার নিয়ে সমালোচনার প্রেক্ষিতে নিজের পদত্যাগের প্রসঙ্গ তুলেছেন।
তিনি চান, আগের মতো তার প্রতি সবার আনুগত্য থাকুক। তবে সরকারি সূত্র বলছে, তিনি পদত্যাগের কথা সিরিয়াসলি বলেননি, বরং রাজনৈতিক দলগুলোকে সতর্ক করতেই এমন বক্তব্য দিয়েছেন।
নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন, বিশেষ করে বিএনপি ও এনসিপির ভূমিকা তাকে ক্ষুব্ধ করেছে। তিনি মনে করেন, যদি কাজ করতে না পারেন, তাহলে পদে থাকার মানে হয় না।
সেনাবাহিনীর এক অনুষ্ঠানে সদস্যদের অবস্থান ও সেনাপ্রধানের বক্তব্যও তাকে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। অনেক রাজনৈতিক নেতা ও বুদ্ধিজীবী তার পদত্যাগের ইঙ্গিতকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
কেউ বলেছেন, এটি আবেগের প্রকাশ, কেউ বলেছেন এটি সরকারের কৌশল। অনেকেই শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন।
অন্যদিকে সাধারণ মানুষ প্রতিদিন আন্দোলনের কারণে দুর্ভোগে পড়ছে, যার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার সমালোচিত হচ্ছে।
উপদেষ্টা ইউনূস মনে করেন, দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, এবং সবার উচিত ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়া।

প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ‘সব দল চায় প্রধান উপদেষ্টা দায়িত্বে থেকে নির্বাচন দিন‘
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের সম্ভাবনা ঘিরে দেশের রাজনীতিতে বড় আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁকে দায়িত্বে থাকার অনুরোধ জানাতে চায়।
তাদের মতে, ইউনূসের নেতৃত্বেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত। তিনি পদত্যাগ করলে দেশে অনিশ্চয়তা ও সংকট তৈরি হবে।
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে পদত্যাগের ইচ্ছার কথা জানান।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদ, আন্দোলন, সড়ক অবরোধ এবং রাষ্ট্রীয় কাজে অসহযোগিতা তাঁকে হতাশ করেছে। সেনাপ্রধানের সাম্প্রতিক বক্তব্যের পর থেকেই এ আলোচনা জোরালো হয়।
বিএনপি সহ বিভিন্ন দল সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দ্রুত সময়সূচি বা রোডম্যাপ চায়। এনসিপি ও ইসলামপন্থী দলগুলোও মনে করে, অধ্যাপক ইউনূস থাকলেই সংস্কার ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব। তাঁকে রাখার জন্য রাজপথে আন্দোলনের কথাও বলা হচ্ছে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখন হচ্ছে—প্রধান উপদেষ্টা দায়িত্বে থেকে দ্রুত একটি নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেন কি না। আজকের একনেক বৈঠকে তিনি কী বলেন, সেদিকেই এখন সবার নজর।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের গুঞ্জনে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চরম উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
তার নেতৃত্বাধীন সরকার মাত্র নয় মাসেই সংকটে পড়েছে, বিশেষ করে বিভিন্ন রাজনৈতিক চাপ, আন্দোলন এবং সিদ্ধান্তে অস্থিরতা তৈরি হওয়ায়।
তবে উপদেষ্টারা তাকে পদত্যাগ না করার পরামর্শ দিয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচার, সেনাবাহিনীর লোগো ব্যবহার করে ভুয়া বার্তা ছড়ানোর বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে।
বিশিষ্ট নাগরিকরা মনে করেন, এখন পদত্যাগ নয়, বরং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্রুত আলোচনায় বসে সংকট নিরসন জরুরি।
তারা বলছেন, সংস্কার ও নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা না করায় সমস্যা বাড়ছে। বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়। একই দাবি সেনাবাহিনী প্রধানের কথাতেও এসেছে।
আলোচনার অংশ হিসেবে আজ ড. ইউনূস বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন।
সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহল থেকে বিতর্কিত উপদেষ্টাদের অপসারণ ও রাজনৈতিক ঐক্যের আহ্বান জানানো হয়েছে।
ড. ইউনূসের সামনে এখন তিনটি পথ—পদত্যাগ, দায়িত্বে থাকা অথবা সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা। পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধানে দ্রুত ও সাহসী রাজনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিচ্ছেন সবাই।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, চলমান রাজনৈতিক সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের গুঞ্জন ঘিরে।
বিশিষ্টজনেরা মনে করেন, এই পদত্যাগ বাস্তব হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। তারা বলেন, নির্বাচন, জুলাই গণহত্যার বিচার এবং কাঙ্ক্ষিত সংস্কার সবই অনিশ্চয়তায় পড়ে যাবে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, বিশেষ করে ফ্যাসিবাদবিরোধী ‘জুলাই ঐক্য’কে সুসংহত করা এখন জরুরি।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী নির্বাচন আয়োজনের জন্য একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি উঠেছে।
সরকারের সঙ্গে দলগুলোর দূরত্ব বাড়ছে, যার ফলে আন্দোলনে সমর্থন দেওয়া দলগুলোর মধ্যেও দ্বন্দ্ব দেখা যাচ্ছে।
অনেকে মনে করেন, সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার পক্ষপাতমূলক আচরণ এবং আগের ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে জনমনে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
বিশ্লেষকরা সতর্ক করছেন, এই অনৈক্যের সুযোগ নিয়ে ভারতসহ বাইরের শক্তি দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকে প্রভাবিত করতে পারে।
তারা বলেন, এখনই রাজনৈতিক দলগুলোকে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব ভুলে দেশ ও জনগণের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। না হলে এই সংকট ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও বড় মূল্য নিয়ে আসবে।

দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘Govt to recast social safety net schemes‘ ‘সরকার সামাজিক সুরক্ষার প্রকল্পগুলো পুনর্গঠন করবে’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সরকার সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিগুলো নতুনভাবে সাজানোর পরিকল্পনা করেছে।
বর্তমানে ১৪০টি কর্মসূচি থাকলেও তা কমিয়ে ১০০টির নিচে আনা হবে। এর মধ্যে ৩৮টি প্রকল্পকে “দরিদ্রবান্ধব” ধরা হবে, যেগুলো মূলত চরম দরিদ্রদের জন্য।
এই নতুন ব্যবস্থায় ১০ লাখ নতুন উপকারভোগী যুক্ত হবেন এবং অনেক পুরনো প্রকল্প বাদ যাবে।
এই কর্মসূচিগুলোর জন্য এবার বরাদ্দ হতে পারে ৯৫ হাজার ৯০৮ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ১২ দশমিক ১৮ শতাংশ।
আগের মতো চালিয়ে গেলে বরাদ্দের পরিমাণ হতো প্রায় এক লাখ ৪৪ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকা।
নগদ সহায়তা কর্মসূচিতে মাসিক ভাতা ৫০ থেকে ১০০ টাকা বাড়ানো হবে, কিন্তু অর্থনীতিবিদদের মতে, এই পরিমাণ খুব কম এবং বাস্তবিক সাহায্য কমই করবে।
প্রধান প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ও অসহায় নারীদের জন্য ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, হিজড়া ও বেদে জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন কর্মসূচি, মা ও শিশুর কল্যাণ এবং দরিদ্রদের কর্মসংস্থান প্রকল্প।
এসব ভাতার পরিমাণ সামান্য বাড়লেও, অর্থনীতিবিদ সেলিম রায়হান মনে করেন, প্রকৃত উপকার পেতে হলে বরাদ্দ আরও বাড়াতে হবে এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা আনতে হবে।

নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘নাশকতার নাটক সাজিয়ে পরিকল্পিত ‘ক্রসফায়ার”
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০১৩ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে সাতক্ষীরায় বহু বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীকে ‘নাশকতার’ মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কথিত ‘ক্রসফায়ারে’ পায়ে গুলি করে পঙ্গু করে দেয়।
এভাবে শতাধিক মানুষ এখন পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, যাদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে ঘটনার আগে কোনো মামলা ছিল না।
আব্দুর রউফ, রিয়াজুল ইসলাম, রুহুল আমিন ও মজিদ সরকারের মতো অনেকেই পুলিশি গুলিতে পঙ্গু হয়ে জীবনযুদ্ধ চালাচ্ছেন। তাদের দাবি, এসব ঘটনা ছিল সাজানো এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
‘নি ক্যাপিং’ নামে এই পদ্ধতিতে হাঁটুর নিচে বা পাশে গুলি করা হয়, যাতে মানুষ বেঁচে থাকলেও সারাজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, এসব ঘটনার সময় কোনো হামলা বা নাশকতা হয়নি, বরং পুলিশ নিজেরাই নাটক সাজিয়েছে।
পুলিশি এজাহার ও সাক্ষ্যনামায় রয়েছে গরমিল। অধিকাংশ সাক্ষী ছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা, অনেকেই ঘটনাস্থলে ছিলেন না বলে জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগীরা এখন বিচার চান, অনেকে মামলা করেছেন তৎকালীন পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
মানবাধিকার কর্মী ও বিশেষজ্ঞরা একে মধ্যযুগীয় বর্বরতার সঙ্গে তুলনা করেছেন। এতসব ঘটনার পরেও এখনো কেউ আইনের আওতায় আসেনি।
তবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আলাদাভাবে এসব ঘটনার বিচার শুরু করবে বলে জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ ও ভারতের সাম্প্রতিক বাণিজ্য টানাপড়েন বিদ্যুৎ খাতেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বর্তমানে ভারত থেকে প্রতিদিন প্রায় ২,৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে বাংলাদেশ, যা দেশের মোট সরবরাহের ১৭ শতাংশ।
এর মধ্যে আদানি গোষ্ঠী ও জিটুজি চুক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ আসে। যদি আকস্মিকভাবে বিদ্যুৎ আমদানি বন্ধ হয়, সে পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিপিডিবি কতটা প্রস্তুত তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
যদিও কর্মকর্তারা বলছেন, বড় কোনো সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা নেই, তবে চাহিদা বেশি হলে লোডশেডিং হতে পারে।
এদিকে আদানির সঙ্গে বকেয়া বিল নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে, যার কারণে তারা একবার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধও করেছিল।
বর্তমানে প্রায় ৭০০ থেকে ৯০০ মিলিয়ন ডলারের বকেয়া নিয়ে টানাপড়েন চলছে। দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা চাহিদার চেয়ে বেশি থাকলেও জ্বালানি সংকটে অনেক কেন্দ্র চালানো যাচ্ছে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রের জ্বালানি নিশ্চিত করতে হবে এবং সোলার প্রকল্প সম্প্রসারণ করতে হবে।
ভারত থেকে আমদানিকৃত জিটুজি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও নির্ভরযোগ্য হওয়ায় একে পুরোপুরি বাদ দেওয়া সম্ভব নয়।
তবে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অস্থিরতায় বিদ্যুৎ আমদানিও ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তাই বিকল্প প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে বলে মত দিয়েছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।

ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম, ‘৩৫৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিল ১৭ ছাপাখানা!‘
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য ছাপানো বিনামূল্যের পাঠ্যবইয়ের মধ্যে ৮ কোটির বেশি বই নিম্নমানের কাগজে ছাপানো হয়েছে বলে সরকার জানিয়েছে।
এতে ১৭টি ছাপাখানা প্রায় ৩৫৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এসব ছাপাখানার মালিকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে এবং বিল আটকে দেওয়ার পাশাপাশি কালো তালিকাভুক্ত করার চিন্তা করছে।
সরকারি ও গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে ৩২টি দল দেশের ৬৪ জেলা থেকে বইয়ের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে দেখেছে যে, অনেক বই নির্ধারিত মান মেনে ছাপা হয়নি।
তদন্তে উঠে এসেছে, ছাপাখানাগুলো মান যাচাইকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগসাজশ করে নিম্নমানের কাগজে বই ছেপেছে। এসব প্রতিষ্ঠান ঘুষ নিয়ে সব বইকে ‘মানসম্পন্ন’ বলেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেহেতু এত তদারকির পরও এমন ঘটনা ঘটেছে, তাই তাতে বড় ধরনের দুর্নীতি ও অবহেলার ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
অনেক ইন্সপেকশন কোম্পানির লোকজন অদক্ষ, এবং ছাপাখানার টাকায় চলায় নিরপেক্ষতা হারায়। মফস্বল এলাকার স্কুলগুলোতেই বেশি নিম্নমানের বই গেছে।
এনসিটিবির মতে, দায় মান যাচাইকারী সংস্থাগুলোর। তবে অনিয়মে জড়িত সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা ট্রিবিউনের প্রধান শিরোনাম, ‘Drive aims to clean Dhaka Western Flood Control Embankment areas‘ ‘ঢাকা পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এলাকা পরিষ্কার করাই এই অভিযানের লক্ষ্য।’
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঢাকার পশ্চিমাংশে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এলাকা দখলমুক্ত করতে সম্প্রতি একটি উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য সংস্থার সহায়তায় মিরপুর বাঁধ এলাকার প্রায় ১০০ একর সরকারি জমি অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রথম দিনে গোরানচাটবাড়ি থেকে পঞ্চবটি পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাইশা কনস্ট্রাকশন, করিম রেডিমিক্স, ঢাকা বোট ক্লাব, তুরাগ রিক্রিয়েশন সেন্টারসহ অনেক প্রতিষ্ঠানের অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
এছাড়া বিরুলিয়া বাঁধ এলাকায় অনেক অবৈধ দোকান ও অস্থায়ী স্থাপনাও সরানো হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ঢাকার পশ্চিমে ৩০.২ কিমি দীর্ঘ এই বাঁধটি ১৯৮৮ সালের বন্যার পর নির্মাণ করা হয়। এটি পুরান ঢাকা থেকে উত্তরা পর্যন্ত বিস্তৃত।
এখন পর্যন্ত পুরো বাঁধ এলাকায় এক হাজার একরের বেশি জমি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্য রয়েছে। তবে অভিযান পরিচালনার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা ছাড়া বোর্ডের নিজস্ব সক্ষমতা নেই।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব অভিযানে রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা না থাকলে কার্যকর হয় না। জমি দখলমুক্ত করে ফেলে রাখা হলে আবারও পুনরায় দখল হতে পারে।
তাই পুনঃদখল ঠেকাতে সেখানে গাছ লাগানো, যাত্রী ছাউনি বা অন্য অবকাঠামো গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।