Source : BBC NEWS

ছবির উৎস, Reuters
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের এক বাসিন্দা, যিনি নিরাপত্তার কারণে
নাম প্রকাশ করতে চাননি তিনি হোয়াটসঅ্যাপে বিবিসির সংবাদদাতাকে বলেছেন, গত ক’দিন ধরে
কিছু ত্রাণ ঢুকলেও তিনি কিছুই
পাননি।
তিনি লেখেন, “আমি আপনাকে কসম খেয়ে বলছি, এখনো আমাদের কাছে এক
ফোঁটা পানীয় আসেনি।, না খাবার,
না আশ্রয়ের জন্য তাঁবু।”
অন্যদিকে গাজার উত্তরাঞ্চলে ২৩ বছর বয়সী এসরাহ শাহিন হোয়াটসঅ্যাপে পরিস্থিতি
বর্ণনা করে বলেন, “অবস্থা খুবই কঠিন। অনেক
বিপদ, লাগাতার
বোমাবর্ষণ হচ্ছে।”
এর আগে এসরাহ বলেছিলেন, যুদ্ধবিরতির সময় তিনি
গাজা শহরে ফিরে আসেন এবং এখানেই থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কখনো ছেড়ে যাবেন না।
কিন্তু এখন, তিনি বলছেন যে আর থাকা সম্ভব নয়।
“সম্ভবত আমরা
আর বেশিদিন থাকতে পারব না। আমাদের সরে যেতেই হবে,” তিনি লেখেন।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজার ভেতরে কী ঘটছে, তা জানার অন্যতম মাধ্যম
হলো হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা। ২০২৩ সালে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েল বিদেশি
সাংবাদিকদের গাজায় ঢুকতে দিচ্ছে না — কেবল খুব কমসংখ্যক সাংবাদিক সেনাবাহিনীর সঙ্গে থেকে
নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে সফরের অনুমতি পাচ্ছেন।
এদিকে গাজায় অ্যাকশন ফর হিউম্যানিটি-এর প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর হানিয়া আলজামাল, বিবিসিকে জানিয়েছেন, প্রায় ১০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায়
প্রবেশ করলেও বাস্তবে তাদের প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ ট্রাকের প্রয়োজন।
৮০ দিন ধরে অবরোধ চলার পর, যে অল্প কয়েকটি ট্রাক ঢুকছে, তা “মূলত কিছুই
না,” তিনি বলেন। তার
নিজের এলাকায়, দেইর
আল-বালাহ-তে এখনো “আসলে কিছুই পৌঁছায়নি।”
ময়দা বেকারিতে যাওয়ার কথা যাতে তারা রুটি বানিয়ে বিতরণ
করতে পারে —কিন্তু আলজামাল বলছেন, এই বিতরণ কেন্দ্রগুলোয়
একেবারে গাদাগাদি অবস্থা।
মানুষ এখন “বেঁচে থাকার
জন্য লড়াই করতে করতে বিশাল লাইন ধরছে।”
তিনি আরও বলেন, তার পরিবারসহ গাজার বেশিরভাগ পরিবার এখন দিনে মাত্র
একবার খাবার খাচ্ছে, তাও পুষ্টির
ঘাটতি আছে তাতে, “মানুষকে ৮০
দিন ধরে ক্ষুধার্ত রাখা হয়েছে।”