Home LATEST NEWS bangla সর্বশেষ সংবাদ ‘আমলাদের ‘পারমাণবিক’ প্রমোদভ্রমণ’

‘আমলাদের ‘পারমাণবিক’ প্রমোদভ্রমণ’

4
0

Source : BBC NEWS

সংবাদপত্র

২ ঘন্টা আগে

‘আমলাদের ‘পারমাণবিক’ প্রমোদভ্রমণ’ শিরোনামে দৈনিক দেশ রূপান্তরের খবরে বলা হয়েছে, পারমাণবিক প্রযুক্তি বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি তো দূরের কথা, ন্যূনতম ধারণাও নেই যাদের তারা প্রায়ই প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ও মতবিনিময় সভায় অংশ নিতে বিদেশে যান।

খবরে বলা হচ্ছে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এমন কাজ হরহামেশা করে থাকেন। অভিযোগ রয়েছে, এসব কর্মসূচিতে যাদের অংশ নেওয়া জরুরি সেই পরমাণু বিজ্ঞানীদের অনেককেই তারা বাধা দেন এবং নানাভাবে হয়রানি করেন। পারমাণবিক প্রযুক্তির জটিলতা ও স্পর্শকাতরতা তারা আমলেই নেন না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পারমাণবিক প্রযুক্তির উন্নয়ন ও নিরাপদ সম্প্রসারণে পরমাণু বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের দক্ষতা বৃদ্ধি, নীতিনির্ধারণ এবং এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের বিজ্ঞানীদের মধ্যে জ্ঞানবিনিময়ের জন্যই আন্তর্জাতিকভাবে ওইসব কর্মসূচির আয়োজন করা হয়ে থাকে। যারা পারমাণবিক প্রযুক্তি নিয়ে চর্চা ও গবেষণা করেন তারাই এগুলোতে অংশ নিয়ে থাকেন। ব্যতিক্রম শুধু বাংলাদেশ। এ কারণে দেশের পরমাণু শক্তির উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং অর্থের নয়ছয় হচ্ছে। অন্যদিকে যারা সত্যিই এ খাতে কাজ করতে চান তারা বঞ্চিত ও হতাশ হচ্ছেন।

বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর
দেশ রূপান্তর

খবরে বলা হয়, সুপরিকল্পিতভাবে নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বাংলাদেশকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে-মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘হাজার হাজার ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করার এবং সত্যিকার অর্থে ফ্যাসিবাদমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গঠন করার যে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে, সেখানেও একটি ‘কালো ছায়া’ এসে দাঁড়াচ্ছে। জনগণকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করা এবং ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার পাঁয়তারা শুরু হয়েছে’।

রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। এর আগে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে যৌথ সভা করে বিএনপি।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব বলেন, একটি মহল বিভাজনের রাজনীতি শুরু করেছে। গোত্রে গোত্রে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে পরস্পরের মুখোমুখি করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।

দেশকে অস্থিতিশীল করতে সরকারের মধ্যে অনুপ্রবেশ ঘটানো হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘কিছু মানুষ, যারা সরকারের মধ্যে অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে। অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে বাংলাদেশকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।’

আজকের পত্রিকা

প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একের পর এক অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। কোথাও উপাচার্য অপসারণ, কোথাও নাম পরিবর্তনের দাবি, আবার কোথাও আবাসন-সংকটের মতো বিষয় নিয়ে আন্দোলন হচ্ছে। এক বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন থামে তো আরেকটিতে শুরু হয়। বেশ কিছু দিন ধরে অন্তত পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রশাসনের বিরুদ্ধে অনাস্থাসহ ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম, তৈরি হচ্ছে প্রশাসনিক জটিলতাও। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

প্রতিবেদন বলছে, শিক্ষার এমন সংকট নিরসনে সরকার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সামগ্রিকভাবে পরিকল্পনা করে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে ধীরগতি দেখাচ্ছে বলে মনে করেন শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। কেবল কোনো ঘটনা ঘটলে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।

অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন খাতে সংস্কারের জন্য ১১টি কমিশন গঠন করেছে। অথচ শিক্ষা খাত নিয়ে সংস্কার কমিশনও গঠন করা হয়নি। শিক্ষাবিদদের পরামর্শ, কোনো ঘটনা ঘটলেই কেবল প্রতিক্রিয়া নয়, সামগ্রিকভাবে শিক্ষা নিয়ে পরিকল্পনা করে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা নিতে হবে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। শিক্ষা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

গত মার্চে শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্ব পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)। ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এখন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন বলেও উল্লেখ করা হয় প্রথম আলোর খবরে।

কালের কণ্ঠ

‘সরকারকে চাপে রাখবে বিএনপি’ শিরোনামে প্রধান খবর প্রকাশ করেছে দৈনিক কালের কণ্ঠ। এই সংবাদে বলা হয় ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানো এবং ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার দাবি—এই দুই ইস্যুতে সরকারকে চেপে ধরার কৌশল নিয়েছে বিএনপি।

এর মাধ্যমে দলটি তাদের রাজনৈতিক শক্তি দেখানোর পাশাপাশি সংসদ নির্বাচনের দাবি আদায়ের আন্দোলনও জোরদার করতে চায়। তবে এখনই কোনো সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হোক—সেটাও চায় না দলের উচ্চ মহল।

এই খবরে বলা হয়েছে, ইশরাক ও সাম্য ইস্যুতে আন্দোলন জোরদার করতে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা।

বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ বুধবার থেকে এই দুই কর্মসূচিতে জনসমাগম আরো বাড়াবে দলটি।

গত সোমবার রাতে গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও এই দুই ইস্যু, সংসদ নির্বাচন ও সাম্প্রতিক কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। রাত সাড়ে ৮টায় বৈঠকটি শুরু হয়ে সাড়ে ১১টার দিকে শেষ হয়। বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বৈঠকে বিএনপি নেতারা অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদের ৯ মাসেও নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষিত না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তাঁরা মনে করেন, সরকারের মধ্যে কিছু স্বার্থান্বেষী চক্র নির্বাচন নিয়ে নেতিবাচক রাজনীতি করছে। ফলে নানা ঘটনায় পরিস্থিতি আরো জটিল হচ্ছে।

তবে বিএনপি নেতারা জানান, নির্বাচনের দাবিতে হয়তো সরাসরি কোনো কর্মসূচি আসবে না।

বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর:
দৈনিক সমকাল

‘সারাদেশে সরকারি ১৪ হাসপাতালে বন্ধ আইসিইউ সেবা’ শিরোনামে প্রধান খবর প্রকাশ করেছে দৈনিক সমকাল। এই খবরে বলা হয়, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন চান্দু মিয়া। জটিলতা বাড়ায় রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। তবে এই হাসপাতালে আইসিইউ সেবা চালু না থাকায় সাধারণ ওয়ার্ডে ঝুঁকি নিয়ে চলছিল তাঁর চিকিৎসা।

এতে বলা হয়, এটি গত রোববারের ঘটনা। মঙ্গলবারও সেখানে আইসিইউ সেবা চালু হয়নি। এমন পরিস্থিতি শুধু সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নয়; লোকবল না থাকায় সোহরাওয়ার্দীসহ দেশের বড় ১৪টি সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ সেবা বন্ধ রয়েছে। এতে গত চার মাসে প্রায় ১৪ হাজার রোগী প্রাণরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে প্রতিদিন অন্তত ৫০ জনের এমন জরুরি সেবা প্রয়োজন হয়। কিন্তু সেবা মেলে না। এর মধ্যে যাদের সামর্থ্য আছে, তারা বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে আইসিইউ সেবা নেন। দরিদ্র রোগীরা টাকার অভাবে এ সেবা নিতে পারেন না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরেরে বরাতে এই খবরে বলা হয়েছে, তথ্য বলছে, ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় শ্বাসকষ্টের রোগী বেড়ে যাওয়ায় কভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস (ইআরপিপি) প্রকল্পের অধীনে ৪৮ জেলায় সরকারি হাসপাতালে ১০ শয্যার আইসিইউ ইউনিট স্থাপন করা হয়। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ২৩ জেলায় আইসিইউ সেবা চালু হয়েছিল। জনবল সংকটে কিছু জেলায় আইসিইউ সেবা বন্ধ হয়ে যায়।

দৈনিক যুগান্তর

‘আসন সীমানায় বড় পরিবর্তনের চিন্তা’ শিরোনামে প্রধান খবর তৈরি করেছে দৈনিক যুগান্তর। এই খবরে বলা হয়েছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজ জোরশোরে এগিয়ে আনছে নির্বাচন কমিশন(ইসি)।

দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর সীমানা পুনর্নির্ধারণসংক্রান্ত আইন সম্প্রতি সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ওই অধ্যাদেশ জারির পরে এ কাজে গতি ফিরেছে। আগামী নির্বাচনে ৩০০টি আসনই বহাল থাকবে এবং বিদ্যমান আইন অনুসরণ করে সীমানা পরিবর্তন করতে যাচ্ছে ইসি।

রাজনৈতিক ঐকমত্যের সিদ্ধান্ত না আসায় এই মুহূর্তে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব খুব একটা গুরুত্ব পাচ্ছে না। তবে সীমানা পরিবর্তনের দাবিতে ইসিতে জমা হওয়া আবেদন, সর্বশেষ প্রকাশিত জনশুমারি এবং প্রশাসনিক ও ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলেও প্রকাশিত খবরে বলা হয়।

এই খবরে বলা হয়েছে, সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (১৯ মে) পর্যন্ত ৬৬টি আসনে ৪১৬টি আবেদন জমা পড়েছে। আবেদনকারীদের বেশিরভাগই বিএনপির নেতাকর্মী। রয়েছেন দলটির বেশ কয়েকজন সাবেক সংসদ-সদস্য ও স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি। তাদের অন্তত ৯০ ভাগই ২০০১ সালের সীমানায় ফেরার দাবি জানিয়েছেন।

ইসির সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানান, জমা হওয়া ‘যৌক্তিক আবেদন’ বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। ওই কারণে এবার অনেক আসনের সীমানায় পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। শহর এলাকার আসন কমে যেতে পারে। বাড়তে পারে গ্রামের আসন। ইসি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

নয়া দিগন্ত

‘কৌশলগত নিরাপত্তা ঝুঁকির শঙ্কা’ শিরোনামে প্রধান খবর প্রকাশ করেছে দৈনিক নয়াদিগন্ত। এই খবরে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দরের সর্ববৃহৎ কনটেইনার টার্মিনাল এনসিটিতে (নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল) বিদেশি অপারেটর নিয়োগে সরকারের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী মহলের বক্তব্য এখন দেশের বড় ইস্যু হয়ে দেখা দিয়েছে।

একটি মহল বিদেশিদের হাতে বন্দরের স্বয়ংসম্পূর্র্ণ এই টার্মিনাল দেয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আবার অন্য একটি মহল এর পেছনে প্রতিবেশী দেশের ষড়যন্ত্রও দেখছেন। ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বন্দরের টার্মিনালগুলো বিদেশি অপারেটরের হাতে যাওয়ার পর যাতে দেশের কৌশলগত নিরাপত্তা ঝুঁকিতে না পড়ে সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করছেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা।

একই সাথে আগের সরকারের আমলে ডলার সঙ্কট মেটাতে তড়িঘড়ি করে বিনা টেন্ডারে জিটুজি চুক্তির আওতায় পিপিপি প্রকল্প হিসেবে বিনা টেন্ডারে টার্মিনাল অপারেটর নিয়োগের বিষয়টিও নতুন করে পর্যালোচনার কথা বলছেন শিপিং সংশ্লিষ্টরা।

খবরে বলা হয়, যদিও সরকারি তরফ হতে বলা হচ্ছে বর্তমান সরকারের পরিকল্পনা হলো আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন একটি অপারেটরের মাধ্যমে এনসিটি পরিচালনা করা। যাতে কনটেইনার খালাসের সময় ও ব্যয় হ্রাস পায়।

গত ৩০ এপ্রিল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বিশ্বমানের সেবা নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সাথে আলোচনা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন।

নিউ এইজ পত্রিকা

ইংরেজি দৈনিক নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম ‘Yunus asks forces to maintain security’ অর্থাৎ দেশের নিরাপত্তা বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

খবরে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস মঙ্গলবার তার সরকারি বাসভবন যমুনায় তার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সেনাবাহিনী, বিমান ও নৌবাহিনী প্রধান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন।

বৈঠকে উপস্থিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এই খবরে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৈঠকে নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বাংলাদেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।

এই বৈঠকটি এমন একটি সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে যখন রাজধানী ঢাকায় শিক্ষার্থী, কারখানার শ্রমিক ও সাবেক সামরিক সদস্যসহ বিভিন্ন গোষ্ঠী নানা দাবিতে বিক্ষোভ করছে এবং একই সাথে ভারত সীমান্তবর্তী এলাকায় উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সম্প্রতি ভারতীয় সীমান্ত থেকে লোকজনকে বাংলাদেশে পুশ ইনের ঘটনাও ঘটেছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের সভাপতিত্বে দেশের আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন’।

খবরে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনুস রাজধানীসহ সারাদেশে একটি স্থিতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতি বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনীর ভূমিকারও প্রশংসা করেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার

গাজায় খাদ্য ও মানবিক সংকট নিয়ে দেশের সবগুলো পত্রিকাই গুরুত্ব দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে। ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম ‘Hunger in Gaza: 14,000 babies may die in 48 hours’ অর্থাৎ খাদ্য সংকটে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় গাজায় ১৪ হাজার শিশু মারা যেতে পারে।

আজ মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রধান টম ফ্লেচার জানান, গাজার পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, জরুরি সহায়তা না পৌঁছালে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ১৪ হাজার শিশু মারা যেতে পারে।

এই খবরে বলা হয়, মঙ্গলবারও গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৮৩ জন মারা গেছে। আর সোমবার মারা গেছে কমপক্ষে ৯১ জন।

তবে, গাজায় ২০ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান সামরিক হত্যাযজ্ঞ নিয়ে ইসরায়েলের বন্ধু রাষ্ট্রগুলোও ধৈর্য হারাতে শুরু করেছে—এমন বাস্তবতায় যুক্তরাজ্যও মঙ্গলবার ইসরায়েলের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করেছে।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বাড়ানোর কারণে তারা ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে।

জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রধান টম ফ্লেচার বিবিসি রেডিও ৪-এর ‘টুডে’ অনুষ্ঠানে বলেছেন, “আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ১৪ হাজার শিশু মারা যাবে যদি আমরা তাদের কাছে পৌঁছাতে না পারি।”

এই সংবাদে বলা হয়, তিনি জানান, সোমবার গাজায় পাঁচটি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। যা ১১ সপ্তাহের ইসরায়েলি অবরোধের পর “সমুদ্রের একফোঁটা পানি’র মতো। কেননা এটি এতই কম যে তা সেখানকার অনেক মানুষের কাছেই পৌঁছায়নি।