Home LATEST NEWS bangla সর্বশেষ সংবাদ রাজনৈতিক পালাবদলের পর কোনো পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশের সাংবাদিকতায়?

রাজনৈতিক পালাবদলের পর কোনো পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশের সাংবাদিকতায়?

4
0

Source : BBC NEWS

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ১৬ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ

ছবির উৎস, Getty Images

৪ ঘন্টা আগে

ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম সূচকে বাংলাদেশের সামান্য উন্নতি হলেও অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর ‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতা’ কিংবা ‘সাংবাদিকতার জন্য মুক্ত পরিবেশ’ কতটা নিশ্চিত হয়েছে তা নিয়ে বিতর্ক চলছে।

বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (পরবর্তীতে সাইবার নিরাপত্তা আইন) মাধ্যমে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের অনেকে রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এখন ওই আইনটির প্রয়োগ খুব একটা দেখা না গেলেও গত এক বছরে আড়াইশর বেশি সাংবাদিককে হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে যা দেশের ইতিহাসেই নতুন ধারণা বলে অনেকে মনে করেন।

পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে পত্রিকা অফিস ঘেরাও, গণহারে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিপুল সংখ্যক সংবাদকর্মীর চাকরি হারানোর পর একজন উপদেষ্টাকে ‘প্রশ্ন করার অপরাধে চাকরি’ হারানোর ঘটনা ব্যাপক আলোচনায় এসেছে।

যদিও সরকারের দিক থেকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে শুক্রবার বলেছেন, “সাংবাদিকতার জন্য এর চেয়ে ভালো সময় আর আসেনি”।

“বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে যারা জার্নালিজম করছেন, এর চেয়ে বেটার টাইম আর আসেনি। আমরা কারও মুখ বন্ধ করছি না, কারও কলম ভেঙে ফেলছি না, কারও প্রিন্টিং প্রেসে গিয়ে সিলগালা করছি না। আমরা সবাইকে বলছি আপনারা জার্নালিজম করেন,” বলেছেন তিনি।

একই সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন যে, তারা (সরকার) কোনো সাংবাদিকের চাকরি খাচ্ছেন না, চাকরি দিচ্ছেনও না।

যদিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতার শিক্ষক সাইফুল আলম চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে বলছেন, দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা “অটোক্রেসির হাত থেকে এসে মবোক্রেসির দৌরাত্ম্যে পড়েছে”।

“আগে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে রাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করতো, এখন মব তৈরি করে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। মবের মাধ্যমে গণমাধ্যমকে ভয় দেখানো হচ্ছে। সরকার সেটি দেখেও না দেখার ভান করছে,” বিবিসি বাংলাকে বলেছেন তিনি।

বর্তমান সরকারের সময়ে গঠিত গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলছেন, আগে বার্তা কক্ষের লোকজন টেলিফোন পেতেন, তাদের ডেকে নেয়া হতো কিংবা কোন সংবাদের কী শিরোনাম হবে তা বলে দেয়া হতো।

তিনি বলেন, “এখন আর সেটি হয় না বলেই আমরা জানি। এটাই পার্থক্য। কিন্তু এখন অনলাইনে কোনো কোনো গোষ্ঠী কিংবা জুলাই বিপ্লবের চেতনার কথা বলে কেউ কেউ পত্রিকা বা টেলিভিশনকে লক্ষ্য করে কথা বলে। ফলে ওই পত্রিকা বা টেলিভিশনে মবের আশঙ্কা তৈরি হয় এবং সেই আশঙ্কা থেকে সেলফ নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি চলে আসছে।”

”এই শঙ্কা বা আশঙ্কা এখনো থাকা দুঃখজনক। এর বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সাহসী হতে হবে এবং সরকারকেও এগুলো বন্ধের কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।

বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন:
বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ রয়েই গেছে

ছবির উৎস, Getty Images

সূচকের উন্নতি, যা বলেছে আরএসএফ

বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ) শুক্রবার তাদের যে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স প্রকাশ করেছে, তাতে গত বছরের চেয়ে বাংলাদেশ ১৬ ধাপ এগিয়েছে।

২০২৪ সালের মে মাসে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ওই সূচকে ১৬৫ তম, যা এবার ১৪৯ তম। এর আগে এই সূচকে ২০২৩ সালের রিপোর্টে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৬৩ তম।

ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এবারের সূচকে বাংলাদেশ সামান্য এগিয়ে আছে। সূচকে ভারতের অবস্থান ১৫১তম, আর পাকিস্তানের অবস্থান ১৫৮।

২০২৪ সালে ভারতের অবস্থান ছিল ১৫৯ তম; তার মানে দেশটির অবস্থার অবনতির চিত্রই ফুটে উঠেছে এবারের প্রতিবেদনে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভুটান ও আফগানিস্তানের চেয়েও ভালো করেছে বাংলাদেশ।

আরএসএফ-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর সরকার গণমাধ্যমকে ‘কমিউনিকেশন টুল’ হিসেবে বিবেচনা করেছিলো এবং শেখ হাসিনার সরকারগুলোও তার ব্যতিক্রম ছিল না।

বিশেষ করে সেন্সরশিপ, সাইবার হয়রানি, কালাকানুন, পুলিশি সহিংসতা এবং সরকার দলীয়দের হামলার ঘটনা ঘটেছে।

শেখ হাসিনার সরকার ক্রমাগতভাবে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করেছে। ফলে গণমাধ্যমগুলো সরকারকে চ্যালেঞ্জ করা থেকে বিরত থেকে ‘সেলফ সেন্সরশিপ’ শুরু করে।

সর্বশেষ নির্বাচনের আগে সাংবাদিকদের জন্য ‘বিশ্বের অন্যতম কালো আইন’ হিসেবে বিবেচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের জায়গায় সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে এসেছিলো শেখ হাসিনার সরকার। এ আইনে তল্লাশি ও ওয়ারেন্ট ছাড়াই আটক ও উপকরণ জব্দের ক্ষমতা দেয়া হয়েছিলো।

ফলে নিউজরুম এডিটররা নিজেরাই নিয়মিত সেন্সর শুরু করে।

এছাড়া বেসরকারি খাতের গণমাধ্যমের মালিকানায় বড় ব্যবসায়ীরা এসেছেন সাম্প্রতিক বছরগুলোয়। তারা প্রভাব বিস্তার ও মুনাফার জন্য এগুলো ব্যবহার করছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

আবার অনেক সংবাদপত্র এখনো সরকারি বিজ্ঞাপনের ওপর নির্ভরশীল।

আরএসএফ এর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সাংবিধানিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষ হলেও সংবিধানেই রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে ইসলামকে।

গত এক দশকে উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা দেখা গেছে, যার মাধ্যমে সাংবাদিক হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। মূল ধারার গণমাধ্যমে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ইস্যুগুলোতে যথাযথ নজর দেয়নি।

রাজনৈতিক কর্মীদের হামলা, জিহাদি বা সন্ত্রাসী সংগঠনের হাতে খুন–– সব মিলিয়ে শেখ হাসিনার সময়ে বাংলাদেশি সাংবাদিকরা ছিলেন ঝুঁকির মধ্যে।

শেখ হাসিনা পরবর্তী রাজনৈতিক অবস্থায় ১৩০ জনের বেশি সাংবাদিককে ‘খুন’ ও ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধে’র অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে পাঁচজনকে।

অনেকে অনলাইনে ‘বিদ্বেষমূলক’ প্রচারণা ও হয়রানির সংস্কৃতির শিকার হচ্ছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের আমলে গণমাধ্যমে রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপের ব্যাপক অভিযোগ উঠেছিলো

ছবির উৎস, Getty Images

এখনকার পরিস্থিতি আসলে কেমন

শেখ হাসিনার পতনের পরে যে আড়াইশর মতো সাংবাদিককে বিভিন্ন হত্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে, তাদের একজন ঢাকার একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিক শাহনাজ শারমীন।

“৫ই অগাস্ট বঙ্গভবনের সামনে আমি লাইভ করছিলাম। সেদিনই ঢাকার আরেক প্রান্তে হওয়া একটি হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ের করার মামলায় আমার নাম দেয়া হয়েছে,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।

ঢাকা ও ঢাকার বাইরে আরো অনেক সাংবাদিক একই ধরনের অভিজ্ঞতার শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছেন।

পাঁচই অগাস্টের পর বিভিন্ন জায়গায় সাংবাদিকদের ওপর হামলার পাশাপাশি বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে আটক করা হয়েছিলো।

সাংবাদিকের ওপর একের পর এক হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করে চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে বিবৃতি দিয়েছিলো আরএসএফ।

তখন সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ডেস্কের প্রধান সিলিয়া মার্শিয়ে বলেছিলেন, “বিগত কয়েক দিনে বাংলাদেশে সাংবাদিকদের ওপর একের পর এক গুরুতর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনা দেশটিতে উদ্বেগজনকভাবে গণমাধ্যমের ওপর সহিংসতা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে। ২০২৪ সালের আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর উন্নতির আশা করা হলেও সাংবাদিকেরা অরক্ষিত রয়ে গেছেন।”

এরপর বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসা তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন শহরে হত্যাসহ বিভিন্ন ফৌজদারি মামলায় আসামি করা হয়েছে ১৩০ জনের বেশি সাংবাদিককে। এদের মধ্যে অনেককে আবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথেও আসামি করা হয়েছে।

সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ঢাকাসহ অন্তত পনের জেলায় হত্যাসহ বিভিন্ন ধরনের মামলায় আসামি করা হয়েছে আড়াইশোর বেশি সাংবাদিককে।

সম্প্রতি গত ২০শে এপ্রিল মিরপুর থানার এক হত্যা মামলায় নাম দেয়া হয়েছে ২৪ জন সাংবাদিকের। ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামে ৩৩ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দুটি মামলা, বগুড়ায় ২২ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আটটি মামলা এবং রাজশাহীতে ১৪ জনের বিরুদ্ধে তিনটির মামলার খবর এসেছে সংবাদ মাধ্যমে।

নানা ধরনের মামলা ও হামলার ঘটনা ছাড়াও গণমাধ্যমকেন্দ্রিক বড় আরেকটি ঘটনা হলো গণহারে সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করে দেয়া, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে আগে কখনো ঘটেনি।

মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক)-এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসেই ১০২ টি সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।

বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর:
শেখ হাসিনার পতনের পরেও বিভিন্ন মামলায় বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আটক হয়েছে

ছবির উৎস, Getty Images

গত বছর নভেম্বরে প্রথমে তিন দফায় ১৬৭ জন সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিলের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলো সম্পাদক পরিষদ। একে ‘সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য হুমকি ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিতে অন্তরায়’ বলে উল্লেখ করেছিলো সংগঠনটি।

কিন্তু তারপরেই ডিসেম্বরে মাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সাংবাদিকদের অনুকূলে ইস্যু করা অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশ বাতিল ঘোষণা করে।

তখন সমালোচনার মুখে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, সাংবাদিকরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে নিয়মিত অস্থায়ী অ্যাক্সেস কার্ড পাবেন।

ডিসেম্বরে সময় টেলিভিশনে কর্মরত পাঁচ গণমাধ্যমকর্মীর একসঙ্গে চাকরি যাওয়ার ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন নেতার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। যদিও ওই নেতা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। চাকরিচ্যুত পাঁচজন টেলিভিশন চ্যানেলটির বিভিন্ন দায়িত্বশীল পদে ছিলেন।

এর আগে নভেম্বরে ঢাকায় প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও গরু জবাইয়ের কর্মসূচি দেয় একটি গোষ্ঠী, যা ঢাকার গণমাধ্যম কার্যালয়গুলোতে আতঙ্ক তৈরি করে। প্রথম আলোর রাজশাহী অফিসে হামলার ঘটনাও ঘটে।

এরপর ২৬শে নভেম্বর এক বিবৃতিতে গণমাধ্যমসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে ‘মব জাস্টিস’ (দলবদ্ধ বিশৃঙ্খলা) কঠোর হাতে দমন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় সম্পাদক পরিষদ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সাইফুল আলম চৌধুরী বলছেন, আগে রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ হতো গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে, আর এখন মব সন্ত্রাসের ভয় দেখানো হচ্ছে।

“আগে ফোন কল করে, চায়ের দাওয়াত দিয়ে ডেকে নিয়ে কিংবা বিজ্ঞাপন বন্ধ করে নিয়ন্ত্রণ করা হতো। কিন্তু এখন মবের মাধ্যমে ভয় দেখানো হয়। ফলে নিজস্ব কিংবা স্বাধীনভাবে কাজ করার বাস্তবতা বাংলাদেশে নেই। ফলে জনস্বার্থে সাংবাদিকতার বদলে এখন চলছে স্ট্যাটাস বেইজড সাংবাদিকতা,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, এখন বিভিন্ন সংবাদপত্র ও টিভি গুলোর অনলাইন ভার্সনে নিয়মিত সরকার ঘনিষ্ঠ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সামাজিক মাধ্যমে দেয়া পোস্টগুলোকেই সংবাদ আকারে প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে।

মি. চৌধুরী বলেন, ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত সরকারের সময়ে মিডিয়ায় হস্তক্ষেপের যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিলো সেটিই পরে ধারাবাহিকভাবে ২০২৪ সাল নাগাদ এসে ভয়ংকর রূপ নিয়েছিলো।

“এখন যে মবোক্রেসেরি সংস্কৃতি চালু হয়েছে তা আগামী দিনে আরও মারাত্মক আকার ধারণ করবে। মবের কারণেই মিডিয়া ভয় পাচ্ছে। এর মাধ্যমে সাইকোলজিক্যালী ভয় দেখানো হচ্ছে। অনেক ট্রল ও বুলিং করা হচ্ছে,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।

এদিকে বাংলাদেশে পেশাদার রিপোর্টারদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছে, “সাংবাদিকরা এখনো মিথ্যা মামলা, গুম, অপহরণ, এমনকি হত্যার শিকার হচ্ছেন, যা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পথে বড় বাধা। সংবিধানে মতপ্রকাশের অধিকার থাকলেও বাস্তবে অনেক আইন সেই অধিকারে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে”।