Home LATEST NEWS bangla সর্বশেষ সংবাদ দুই উপদেষ্টার সাবেক দুই ব্যক্তিগত কর্মকর্তার দুর্নীতির বিষয়ে দুদকের গোয়েন্দা কার্যক্রম

দুই উপদেষ্টার সাবেক দুই ব্যক্তিগত কর্মকর্তার দুর্নীতির বিষয়ে দুদকের গোয়েন্দা কার্যক্রম

6
0

Source : BBC NEWS

বিদ্যুৎ উপদেষ্টা

ছবির উৎস, TV GRAB

বরিশাল ও খুলনায় গতকাল শনিবার বিদ্যুতের গ্রিড বিপর্যয়ের কারণ খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুয়েটের উপ-উপাচার্য ড. আব্দুল হাসিব চৌধুরীকে প্রধান
করে আট সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আজ রোববার বিদ্যৎ,
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।

মি. খান বলেন, “একটা ফল্ট হলো। এর ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলো। পরে
ভেড়ামারা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ দেওয়া শুরু করলো। ৪০ মিনিটের মধ্যে
বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হলো।”

গতকালের ঘটনায় সাতটা পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ হয়েছে বলে জানান মি. খান।

তিনি বলেন, “এগুলোর বেশিরভাগই কয়লাচালিত বিদ্যুৎ
কেন্দ্র। এগুলো একবার বন্ধ হয়ে গেলে চালু হতে সময় লাগে।”

সাত কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া গতকাল শনিবার বিকেলে বিদ্যুৎ
সরবরাহ বিঘ্ন হওয়ায় মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়। এর কারণ খতিয়ে দেখতে অধ্যাপক
শামসুল হককে প্রধান করে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা।

শহরে ও গ্রামে সমানভাবে লোডশেডিং দেওয়া হবে এবং তা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে চেষ্টা করা হবে বলেও জানান বিদ্যুৎ উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, “আপনার বাড়িতে নানা কারণে বিদ্যুৎ নাও থাকতে পারে। একটা কারণ লোডশেডিং হবে। দুইটা
কারণে হতে পারে, বিদ্যুৎ উৎপাদন নাই, চাচ্ছে
বেশি দিতে পারছেন না। আরেকটা কারণ হলো ট্রান্সমিশনে ইয়ে করার জন্য গ্রিডের
স্ট্যাবিলিটি মেইনটেইন করার জন্য লোডশেডিং হতে পারে”।

ট্রান্সমিশনসহ বিদ্যুৎ খাতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতিও ফিউজ নষ্ট হওয়া ও লোডশেডিং এর কারণ বলে উল্লেখ করেন মি. খান।

“আমি প্রথমেই বলছি লোডশেডিং হচ্ছে এবং হবে। এটা বুঝতে হবে অনেক সময় কারো
বাড়িতে বিদ্যুৎ না থাকার কারণ ট্রান্সমিশনটা ফিউজ হয়ে যাওয়া। আমিতো অস্বীকার
করতেছি না লোডশেডিং হচ্ছে না। ব্যাপক যে দুর্নীতি হয়েছে ট্রান্সমিশনে, বিভিন্ন ইয়েতে নিম্নমানের পণ্য ইয়ে
করছে এগুলোর কারণেই হচ্ছে” বলেন মি. খান।

এখন সাড়ে ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে জানিয়ে মি. খান বলেন, “পরিষ্কার নির্দেশ দিয়েছি যে, লোডশেডিং সমানভাবে করতে হবে। শহর ও গ্রামে
সমানভাবে করতে নির্দেশ দিয়েছি। ১৬ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট এখন পর্যন্ত উৎপাদন করছি। এরপরে
ডিমান্ড তো আরো বাড়বে।”

“বিপিডিবি আর্থিকভাবে লোকসানি প্রতিষ্ঠান। এর কারণে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কিছুটা
চালাচ্ছি , সবগুলো চালাচ্ছি না। যদি ডিমান্ড বাড়ে তবে হয়তো আরো তেলভিত্তিক
কেন্দ্র চালু করবো। উৎপাদনের সক্ষমতা থাকলেও আমাদের আর্থিক সক্ষমতা নাই” জানান মি. খান।