Home LATEST NEWS bangla সর্বশেষ সংবাদ ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনেও আপত্তি নেই বিএনপির’

‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনেও আপত্তি নেই বিএনপির’

3
0

Source : BBC NEWS

আজ ঢাকা থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন দৈনিক সংবাদপত্র

২ ঘন্টা আগে

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিএনপি চায় চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হোক।

তবে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে যদি নির্দিষ্ট দিনক্ষণ জানানো হয়, তাহলে জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিতে হলেও তারা তেমন আপত্তি করবে না।

তারা মনে করে, নির্দিষ্ট সময় জানালে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা কমবে এবং দলগুলো নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে পারবে। এই বিষয়ে বিএনপি তার রাজনৈতিক মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করছে।

গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে আলোচনায় আসে নির্বাচনের রোডম্যাপ ও রাজনৈতিক সংস্কার ইস্যু। মঞ্চের নেতারা বলেন, সংস্কার নিয়ে বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট নয়, এতে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে।

বিএনপি সম্মত হয় যে শুধু নির্বাচন নয়, সংস্কার নিয়েও তাদের আরও সক্রিয় হওয়া দরকার।

বৈঠকে কিছু নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও দলের অভ্যন্তরে নেতাদের আচরণ নিয়েও আলোচনা হয়। গণতন্ত্র মঞ্চ বিএনপিকে এসব বিষয়ে সঠিক বার্তা দেওয়ার পরামর্শ দেয়।

বিএনপির সঙ্গে এনসিপির সম্পর্ক এখন দুর্বল, তাদের গুরুত্বও কমে গেছে বলে মনে করে দলটি।

এছাড়া বিএনপি আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে এবং সব দলেরই একমত যে, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা জরুরি।

আন্দোলনের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে বিএনপি আরও ঐক্য গড়ে তুলতে চায়।

দেশ রূপান্তর

দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রধান শিরোনাম, ‘Bangladesh’s GDP growth to slump to 36-year low, 30 lakh more set to sink into poverty: WB‘ অর্থাৎ, ‘বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন, আরও ৩০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যের কবলে পড়বে: বিশ্বব্যাংক’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিশ্বব্যাংক বলেছে বাংলাদেশ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মাত্র তিন দশমিক তিন শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারবে, যা গত ৩৬ বছরে সবচেয়ে কম।

জানুয়ারিতে এই প্রবৃদ্ধি চার দশমিক এক শতাংশ হবে বলে আশা করা হয়েছিল। তবে বিনিয়োগ কমে যাওয়া, মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাওয়া, আর্থিক খাতে অস্থিরতা এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে সেই আশায় ভাটা পড়েছে।

এই আর্থিক মন্দা কেবল সংখ্যার খেলা নয়, এটি লাখ লাখ মানুষের জীবনে বড় ধাক্কা। বিশ্বব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী এক বছরে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যে পড়বে, যারা দৈনিক দুই দশমিক ১৫ ডলারের নিচে আয় করবে।

চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে চার শতাংশ কর্মী চাকরি হারিয়েছে এবং কম দক্ষ কর্মীদের আয় দুই শতাংশ কমেছে।

দারিদ্র্য বাড়ার পাশাপাশি আয় বৈষম্যও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তিনটি পরিবারের মধ্যে দুইটি তাদের সঞ্চয় খরচ করছে টিকে থাকার জন্য।

এই প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক অস্থিরতা, বৈশ্বিক বাণিজ্য অনিশ্চয়তা এবং ব্যাংক খাতের দুর্বলতা প্রবৃদ্ধিকে আরও বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতিই সবচেয়ে বড় সমস্যা। সরকারকে এখন অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফেরাতে বিনিয়োগ বাড়ানো, ব্যয় কমানো এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর দক্ষতা বাড়ানো জরুরি। তবে আসন্ন অর্থবছরে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনাও রয়েছে।

আরও পড়তে পারেন
কালের কণ্ঠ

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে বেসরকারি এয়ারলাইনস খাতে বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পড়েছে। গত ২৮ বছরে ১২টিরও বেশি দেশি এয়ারলাইনস বন্ধ হয়ে গেছে।

এখন নভোএয়ার বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ খাতে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে উচ্চ জ্বালানি তেল মূল্য, অতিরিক্ত সারচার্জ, কঠিন নিয়ম-কানুন এবং সরকারি নীতিগত সহায়তার অভাবে।

অনেক এয়ারলাইনস দেনার চাপে পড়ে দেউলিয়া হয়েছে। দেশের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) মাসে ৬ শতাংশ হারে সারচার্জ নেয়, যা বছরে দাঁড়ায় ৭২ শতাংশ—বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি।

বিদেশি এয়ারলাইনসগুলো দেশের এভিয়েশন বাজারের প্রায় ৮০ শতাংশ দখল করে আছে, কারণ দেশি সংস্থাগুলো টিকে থাকতে পারছে না।

বর্তমানে ইউএস-বাংলা, নভোএয়ার ও এয়ার অ্যাস্ট্রা ছাড়া আর কোনো বেসরকারি এয়ারলাইনস চালু নেই। নভোএয়ার বিক্রি করে টিকে থাকার চেষ্টা করছে, অন্যথায় তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

বেসরকারি সংস্থাগুলোর দাবি, সরকার সময়োপযোগী নীতিমালা করুক, সাশ্রয়ী জ্বালানি নিশ্চিত করুক এবং অতিরিক্ত কর ও সারচার্জ কমাক।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত নীতি ব্যবসাবান্ধব না হবে, ততক্ষণ দেশি এয়ারলাইনস টিকবে না, আর তাতে লাভবান হবে কেবল বিদেশি কোম্পানিগুলো।

আজকের পত্রিকা

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ সরকার এখন বিদেশিদের সাধারণ কর্মসংস্থানে নিয়ন্ত্রণ আনতে চাচ্ছে।

বিদেশিদের জন্য অন অ্যারাইভাল ভিসা সীমিত করা হচ্ছে এবং সাধারণ কাজের সঙ্গে যুক্ত বিদেশিদের ওয়ার্ক পারমিট আর নবায়ন করা হবে না।

ক্রিকেটার ছাড়া অন্য কোনো খেলোয়াড়কে অন অ্যারাইভাল ভিসা দেওয়া হবে না।

অনেক বিদেশি ভিসার নিয়ম লঙ্ঘন করে বছরের পর বছর অবৈধভাবে কাজ করছেন, এ জন্য তাদের কালো তালিকাভুক্ত করে ফেরত পাঠানো হবে।

সরকার মনে করছে, বাংলাদেশিরা যে কাজ করতে পারেন সে কাজের জন্য বিদেশিদের প্রয়োজন নেই।

তাই এখন থেকে শুধু বিশেষায়িত কাজে বিদেশি কর্মী আনা হবে। ইতিমধ্যে অনেকে যারা ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ বাড়াতে চেয়েছিলেন, তাদের আবেদন বাতিল করা হয়েছে।

বিদেশিদের কাজ ও ভিসার তথ্য পর্যবেক্ষণের জন্য নতুন অ্যাপ চালু হচ্ছে। করোনার সময় অন অ্যারাইভাল ভিসা বন্ধ ছিল, আর এখন সেটা সীমিতভাবে দেওয়া হবে।

গবেষকরা বলছেন, কৌশলগতভাবে বিদেশিদের কাজে লাগিয়ে দক্ষতা বাড়ানো যেতে পারে, তবে দেশের দক্ষ জনশক্তির ব্যবহারে জোর দিতে হবে।

সরকার অবৈধ বিদেশিদের ধরতে একটি টাস্কফোর্সও গঠন করেছে, যারা এখন কঠোরভাবে নিয়ম প্রয়োগ করছে।

সমকাল

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, চট্টগ্রামের রাউজানে গত আট মাসে একের পর এক ১২টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, সাধারণ মানুষ।

অনেককে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছে, আবার কারও লাশ উদ্ধার হয়েছে নিখোঁজের কয়েক দিন পর।

বেশিরভাগ হত্যাকাণ্ডে মামলায় আসামিরা ‘অজ্ঞাতনামা’ হিসেবে উল্লেখ থাকলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

মাত্র তিনটি মামলায় আসামিদের নাম দেওয়া হয়েছে, বাকিগুলোর তদন্তে পুলিশের উদাসীনতা ও গড়িমসির অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

হত্যাকাণ্ডের পর অনেক পরিবার এলাকা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন। অভিযোগ আছে, রাজনৈতিক প্রভাবে পুলিশ আসামিদের ধরতে উদ্যোগী নয়।

বিএনপির দুই শীর্ষ নেতা গিয়াস কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারীরা এদের অধিকাংশ হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ ওঠেছে।

থানায় প্রভাব খাটিয়ে তারা মামলা নিয়ন্ত্রণেরও চেষ্টা করে বলে জানা গেছে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নেতারা।

রাউজানের ওসি দাবি করেছেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ঠেকানো কঠিন।

প্রশাসন ও রাজনীতির টানাপোড়েনে সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তদন্তের নির্দেশ দিলেও মাঠপর্যায়ে তেমন অগ্রগতি নেই। ফলে রাউজানের মানুষ আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

প্রথম আলো

প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘ছিনতাই মামলায় গলদ, বেরিয়ে যান আসামিরা

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঢাকার মিরপুরে এক ছিনতাইয়ের ঘটনায় ধরা পড়া যুবক মো. আকিবকে পুরোনো এক মামলার আসামি দেখিয়ে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ, কিন্তু নতুন ছিনতাইয়ের ঘটনায় নিয়মিত মামলা হয়নি।

আদালত এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে থানার ওসি ও তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। বিচারক বলেন, সম্প্রতি ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েছে, কিন্তু মামলায় আসামিদের বিস্তারিত তথ্য না থাকায় তারা সহজে জামিন পাচ্ছে।

পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ছিনতাই-ডাকাতির মামলায় ৮৫২ জন গ্রেপ্তার হলেও অন্তত ১৫০ জন জামিনে ছাড়া পেয়েছে।

এদের অনেকে আবার ছিনতাইয়ে জড়িয়েছে। পুলিশের সন্দেহ, জামিন পেতে কেউ কেউ প্রভাব খাটাচ্ছে বা মামলায় দুর্বল ধারা ব্যবহার করা হচ্ছে।

রাজধানীতে সিসিটিভিতে ছিনতাইয়ের ছবি ছড়ানোয় মানুষ আতঙ্কিত। গত সোমবার তেজগাঁওয়ে ছিনতাইকারীর হাতে এক যুবক খুন হন।

পুলিশের দাবি, অপরাধ কমাতে তারা নিয়মিত মামলা ও কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে।

কিন্তু সমাজ বিজ্ঞানীদের মতে, আইনি ঘাটতির কারণেই অপরাধ বাড়ছে এবং অপরাধীদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি।

নয়া দিগন্ত

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)-এর পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠেছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৩৭ জন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীর শাস্তি প্রত্যাহার করেছে এবং সব আবাসিক হল খুলে দিয়েছে।

তবুও শিক্ষার্থীরা তাদের আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের একমাত্র দাবি এখন উপাচার্যের পদত্যাগ। শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করলেও তারা তা প্রত্যাখ্যান করেছে।

এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা একাত্মতা প্রকাশ করে ক্লাস বর্জন, অনশন ও বিক্ষোভ করছেন।

ঢাবির রাজু ভাস্কর্য, হাবিপ্রবির মূল ফটক ও অন্যান্য ক্যাম্পাসে আন্দোলন চলছে।

এদিকে শিক্ষক সমিতি বলছে, দোষী প্রমাণ না হলে উপাচার্যকে অপসারণের দাবি তারা মানবে না।

শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন, উপাচার্যকে মারধর ও কিছু শিক্ষকের লাঞ্ছনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা পাঠদান কার্যক্রমে অংশ নেবেন না।

শিক্ষার্থীরা বলছে, প্রশাসনের গাফিলতিই এই সংকটের জন্য দায়ী। যত দিন না উপাচার্য পদত্যাগ করছেন, ততদিন আন্দোলন চলবে।

বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন
দ্য ডেইলি স্টার

দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ”Disrupting office work: Govt employees can be punished within 8 days‘ ‘অফিসের কাজে ব্যাঘাত: সরকারি কর্মচারীদের ৮ দিনের মধ্যে শাস্তি দেওয়া যাবে’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, অস্থিরতা বন্ধে সরকারি কর্মচারীদের দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সরকার। সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ সংশোধনের প্রস্তাব আনা হয়েছে, যাতে অফিস কার্যক্রম ব্যাহত করলে মাত্র আট দিনের মধ্যে দোষী কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

এতে কোনো বড় তদন্ত ছাড়াই বরখাস্ত, অব্যাহতি বা পদাবনতি দেওয়া যাবে।

জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের পর সিভিল প্রশাসনে বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে এই সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

অনেক কর্মকর্তা কাজ ফেলে বিক্ষোভে নেমেছিলেন, এমনকি সচিবালয়ের অফিস পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এতে সরকারি কাজকর্মে বড় ধরনের বিলম্ব হয়।

সংশোধনী অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মচারী ইচ্ছাকৃতভাবে অফিসের কাজে বাধা দিলে বা অন্যদের কাজে বাধা দিলে বা কাজ না করে উসকানি দিলে, তার বিরুদ্ধে আট দিনের মধ্যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

প্রথমে অভিযোগ জানিয়ে পাঁচ দিনের মধ্যে জবাব চাওয়া হবে এবং পরবর্তীতে তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হবে। সন্তোষজনক জবাব না দিলে চূড়ান্ত শাস্তি দেওয়া হবে। আপিলের সুযোগ থাকবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরাতে সহায়ক হলেও, কেউ কেউ এটিকে পুরনো সামরিক শাসনের ‘দমনমূলক আইন’ বলছেন। কেউ কেউ বলেন, এই আইন সৎ কর্মকর্তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

আবার অনেকে বলেন, এটি চিন্তার স্বাধীনতাও ক্ষুণ্ন করতে পারে।

যুগান্তর

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, স্থানীয় সরকার ও স্বাস্থ্য উপদেষ্টার দুই সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বড় ধরনের তদবির বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সাবেক এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠ তুহিন ফারাবি ও মাহমুদুল হাসান নানান নিয়োগ, বদলি ও ঠিকাদারি কাজের বদলে কোটি কোটি টাকা আদায় করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

তারা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখতেন এবং চাকরি বা বদলির জন্য লাখ লাখ টাকা নিতেন।

এই অভিযোগ ছড়িয়ে পড়ার পর মোয়াজ্জেম ও ফারাবিকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। মাহমুদুল হাসান বর্তমানে রাশিয়ায় অবস্থান করছেন।

এ বিষয়ে মোয়াজ্জেম দাবি করেন, তিনি ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছেন এবং কোনো দুর্নীতি করেননি। তিনি আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।

গণঅধিকার পরিষদ বলেছে, মোয়াজ্জেম হোসেনকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার, আবার অপসারণও করেছে সরকার। গণঅধিকার পরিষদ তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেনি। সুতরাং সে গণঅধিকার পরিষদের কর্মীদের বিরুদ্ধে যে বক্তব্য দিয়েছে তা অসত্য এবং অপ্রাসঙ্গিক।

সাবেক সরকারি কর্মকর্তারা মনে করেন, বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। কেউই একা এত দুর্নীতি করতে পারে না, পেছনে আরও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ভূমিকা থাকতে পারে বলে মত দেন তারা।