Home LATEST NEWS bangla সর্বশেষ সংবাদ উপদেষ্টাদের কয়েকজন দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চান: সালাহউদ্দিন আহমদ

উপদেষ্টাদের কয়েকজন দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চান: সালাহউদ্দিন আহমদ

3
0

Source : BBC NEWS

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া

ছবির উৎস, Asif Mahmud Shojib Bhuyain/FB

যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে বিএনপি “গায়ের জোরে” দাবি আদায় করার উদ্দেশ্যে নগর ভবন বন্ধ করে আন্দোলন চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

সোমবার বিকেলে ফেসবুক এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেছেন উপদেষ্টা।

এমন একটি মি. ভূঁইয়া এই মন্তব্য করছেন, যখন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে তার সমর্থকরা ঢাকা দক্ষিণের নগর ভবন অবরোধ করে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো বিক্ষোভ করছেন।

দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

তাদের অভিযোগ, আদালতের রায় ও নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপন প্রকাশের পরও উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের কারণে ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে না।

তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা মি. ভূঁইয়া।

তিনি জানিয়েছেন যে, বেশকিছু জটিলতার কারণে ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

“প্রথমত, আর্জি সংশোধন অবৈধ মর্মে হাইকোর্টের রায় ভায়োলেট করে নির্বাচন কমিশন ট্রাইবুনাল এই রায় প্রদান করেছে। দ্বিতীয়ত, নির্বাচন কমিশন শুনানিতে অংশগ্রহণ না করায় একপাক্ষিক রায় হয়েছে এবং পরবর্তীতে কমিশন আপিলও করেনি,” ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন উপদেষ্টা মি. ভূঁইয়া।

তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন কমিশনের চিঠিতে “কোনপ্রকার আইনি জটিলতা না থাকলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ” এর কথা বলা হয়েছে। স্পষ্টতই বিতর্কিত রায়, স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতি কোন নির্দেশনা না থাকা, লিগ্যাল নোটিশ এবং রিট পিটিশন বিচারাধীন থাকা সংক্রান্ত আইনি জটিলতা রয়েছে।”

“উচ্চ আদালতে বিচারাধীন এবং উপরোল্লিখিত জটিলতা নিরসন না করা পর্যন্ত শপথ গ্রহণ সম্ভব নয়। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে বরং গাঁয়ের জোরে আদায় করার উদ্দেশ্যেই নগর ভবন বন্ধ করে মহানগর বিএনপি এই আন্দোলন চালাচ্ছে। ফলে সিটি কর্পোরেশনের দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হওয়াসহ জন দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে,” ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন মি. ভূঁইয়া।

এছাড়া ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, তাতে আওয়ামী শাসনামলে অনুষ্ঠিত অবৈধ নির্বাচন গুলোকে বৈধতা দেওয়া হচ্ছে কী-না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা।

একই প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি’র (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমও।

“যারা আগামী প্রজন্মকে পথ দেখাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি, তারাই যদি বিগত অবৈধ নির্বাচন গুলোকে বৈধতা দেওয়ার জন্য নিজেদের সক্ষমতার অপব্যবহার করে তাহলে এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিক্রমায় ঐতিহাসিক দায় তৈরি করবে। ইশরাক ভাই সেই দায় সারাজীবনের জন্য বহন করবেন কিনা সেই সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হবে,” সোমবার বিকেলে নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছেন মি. আলম।