Source : BBC NEWS

এক ঘন্টা আগে
এখানে বলা হয়েছে, বিএনপি-জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে তা এখনও অজানা। লন্ডনে বা ঢাকায় কোনও দলের পক্ষ থেকেই এ নিয়ে কিছুই বলা হয়নি।
সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় গেছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান।
ডা. শফিকুর রহমান ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমন্ত্রণে ব্রাসেলস গিয়েছিলেন। ইউরোপীয় নেতাদের কাছে তারা তাদের অবস্থান তুলে ধরেছেন। জামায়াত কী চায় তাও স্পষ্ট করেছেন। কিন্তু এর মাঝে লন্ডনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক হবে, এ নিয়ে কোনও পূর্বঘোষণা ছিল না।
তবে তারেক রহমান নিজেই জামায়াতের আমিরকে স্বাগত জানান। আলোচনার শুরুতে অসুস্থ খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কেমন, কীভাবে তার দিন কাটছে তা জানার চেষ্টা করেন ডা. শফিকুর রহমান। কবে দেশে ফিরবেন তাও জানতে চান ডা. শফিকুর রহমান।
এরপর ধীরে ধীরে রাজনৈতিক আলোচনা শুরু হয়। জানা গেছে, লন্ডন বৈঠকে বেগম জিয়া খুব কম কথা বলেছেন। তবে তার কথাবার্তার মধ্যে ঐক্যের সুর ছিল।
তবে তারেক রহমান আলোচনা এগিয়ে নিয়েছেন। ডা. শফিকুর রহমান বার কয়েক বলেছেন, “কোথা থেকে কী হলো জানি না। কিন্তু আমাদের তরফে ঐক্য ভাঙার কোনো চেষ্টা ছিল না। বিএনপি’র নেতাদের বক্তৃতা-বিবৃতি পর্যালোচনা করলেই এর জবাব খুঁজে পাওয়া যাবে।”
তারেক রহমান তার অবস্থান খোলাসা করেন। বলেন, “এত বড় পার্টির কোথায়, কোন নেতা কী বলেছেন তা মনিটর করা সম্ভব নয়। কিন্তু দলের কোনও সিদ্ধান্ত ছিল না আমি যতটুকু জানি।”
ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে একটি বাইরের শক্তি নানা ষড়যন্ত্র করছে, তা নিয়েও তারা আলোচনা করেন এবং তারা একমত হন। কবে নির্বাচন হতে পারে তা নিয়ে বেশ কিছু সময় আলোচনা হয়।
এদিকে, নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে দু’দলের অবস্থান কাছাকাছি নয়, বিপরীতমুখী। দু’দলের মধ্যে দূরত্ব কমাতে কিছু করণীয় নিয়েও কথাবার্তা হয় তাদের মধ্যে। আরও ধৈর্য, আরও সংযমের ওপর জোর দেন নেতারা। জানা গেছে, ভবিষ্যতে দু’দলের সম্পর্কে ফাটল ধরে এমন কোনও কাজকে প্রশ্রয় দেবেন না কেউই- সেই বিষয়েও তারা এক অলিখিত সিদ্ধান্তে পৌঁছান।

দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী একই ব্যক্তি হবেন কিনা এমন সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলের কাছেই থাকা উচিত এবং সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে থাকা সর্বোত্তম বলে মনে করে বিএনপি।
তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করা যাবে না, এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছে দলটি। এছাড়া কোনও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে এমপিরা থাকতে পারবে না এবং দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের প্রস্তাবেও একমত পোষণ করেছে তারা।
সংবিধান সংশোধনীর সব ক্ষেত্রে গণভোটের দরকার নেই, তবে নির্দিষ্ট আর্টিকেল নিয়ে গণভোটের ব্যবস্থা করতে চাইলে সেটা পরবর্তী সংসদে আলোচনা করে করা যেতে পারে বলে মত দিয়েছে তারা। ন্যায়পাল নিয়োগে ক্ষেত্রেও কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত বিএনপি।

বেশ কিছু মৌলিক সুপারিশের বিষয়ে একমত হয়নি বিএনপি— প্রথম আলো’র প্রধান শিরোনাম এটি। সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদের এলডি হলে বিএনপির সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের তৃতীয় দিনের মতো আলোচনা হয়। ওই আলোচনায় বিএনপি যেসব বিষয়ে সংস্কারে আংশিক একমত বা ভিন্নমত পোষণ করেছে, তার বিস্তারিত উঠে এসেছে এই প্রতিবেদনে।
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের বরাতে এখানে বলা হয়েছে, পাঁচটি সংস্কার কমিশনের প্রায় ৬৯৪টি প্রস্তাবের মধ্যে বেশির ভাগের সঙ্গে বিএনপি একমত হয়েছে। আপাতত আলোচনা শেষ হয়েছে। প্রয়োজনে আরও আলোচনা হতে পারে।
বিএনপি বলছে, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য আনা তাদের অঙ্গীকার। তবে একই ব্যক্তি একাধারে প্রধানমন্ত্রী, দলীয় প্রধান ও সংসদ নেতা হতে পারবেন না; এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না—এই দুটি প্রস্তাবে একমত নয় দলটি।
সংসদ ও রাষ্ট্রপতির মেয়াদ চার বছর করা, সংবিধান সংশোধনে দুই কক্ষের অনুমোদনের পর গণভোট করা, জরুরি অবস্থা জারির প্রস্তাবিত বিধান, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি, মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা নামে আলাদা অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত করা, সংবিধানে দেশের নাম পরিবর্তন, নিম্নকক্ষে তরুণদের জন্য ১০ শতাংশ আসনে মনোনয়ন দেওয়া, সংসদ নির্বাচনের জন্য ন্যূনতম বয়স ২১ বছর করার মতো প্রস্তাবগুলোতেও বিএনপি একমত হয়নি।
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ এবং নিম্নকক্ষে সংরক্ষিত নারী আসন ১০০টি করার বিষয়ে বিএনপি একমত হলেও নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে তাদের মত ভিন্ন।

গ্যাস, বিদ্যুৎ, সারে ভর্তুকি বেড়ে দাঁড়াচ্ছে লাখ কোটি টাকা— সমকাল পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের চেয়ে সংশোধিত বাজেটে সার, বিদ্যুৎ ও এলএনজিতে ভার্তুকি প্রায় ৩৬ লাখ টাকা বেড়ে দাঁড়াচ্ছে প্রায় এক লাখ কোটি টাকা। ভর্তুকি কমাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপ রয়েছে।
সার্বিক স্বার্থে সরকারও ভর্তুকি কমাতে চায়। আইএমএফের চলমান ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের সুরাহা না হওয়ার পেছনে ভর্তুকি কমাতে না পারা অন্যতম কারণ।
অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এ খাতে ভর্তুকি বাড়াতে হচ্ছে।
একই সঙ্গে, বিদ্যুৎ ও সারে উচ্চ ভর্তুকি চাহিদার পাশাপাশি আগের অর্থবছরের বকেয়া ভর্তুকি পরিশোধ করতে হচ্ছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগের চেয়ে বেশি গ্যাস সরবরাহের কারণে আমদানিতেও ভর্তুকি বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতে ১০ শতাংশ খরচ কমিয়ে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ কমে আসবে।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ৯৪ শতাংশই ফেল করেছেন।
এসব শিক্ষার্থীর বেশির ভাগই এসএসসি ও এইচএসসিতে ডবল জিপিএ ফাইভ পাওয়া।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটেও ৯০ শতাংশের বেশি ভর্তীচ্ছু ফেল করেছেন। এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ ফাইভ পেয়েও প্রায় সোয়া লাখ শিক্ষার্থীর ভর্তি পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হওয়ার বিষয়টি সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, অনেক শিক্ষার্থী প্রথাগত পড়াশোনায় ভালো ফল করছেন। অনেক ক্ষেত্রে সরকার তার সাফল্য দেখাতে জিপিএ ফাইভ বাড়িয়েছে। শিক্ষকদের ওভার মার্কিংয়ে বাধ্য করা হয়েছে। আবার অদক্ষ শিক্ষকরা কম সময়ে তাড়াহুড়া করে খাতা দেখতে গিয়ে গড়পড়তা নম্বর দিচ্ছেন। সর্বোপরি, বর্তমানে শিক্ষার মান খুবই খারাপ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্র থেকে কালের কণ্ঠ জানতে পারে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে তিনটি ইউনিটে ভর্তির জন্য মোট তিন লাখ দুই হাজার ৬০৬ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন। এর মধ্যে ডবল জিপিএ ফাইভ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক লাখ ৪১ হাজার ৯৪ জন।

এখানে বলা হয়েছে, গুমের শিকার ব্যক্তির মৃত্যু ঘটানোর দায়ে সরকারি কর্মকর্তারা দোষী সাব্যস্ত হলে তারা মৃত্যুদণ্ড অথবা ন্যূনতম যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন; গতকাল প্রকাশিত ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ ২০২৫’ শীর্ষক অধ্যাদেশে এমন বিধান রাখা হয়েছে।
এই আইনে আইনে অপরাধীদের জন্য এক কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
যেসব সরকারি কর্মকর্তা গুমে সম্পৃক্ত, কিন্তু মৃত্যুর জন্য দায়ী না— তাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা ন্যূনতম ১০ বছর জেল এবং সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে।
রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেলে এটিই হবে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সংঘটিত গুমকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে অপরাধীদের ফৌজদারি আদালতে বিচার বিষয়ক ইতিহাসের প্রথম আইন।
বর্তমানে অপহরণ বা কিডনাপকে ফৌজদারি আইনে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হলেও, গুমকে আলাদা কোনও অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।

ডুবতে বসেছে জনতা ব্যাংক— নয়া দিগন্ত পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এখানে বলা হয়েছে, টেক্সটাইল, তৈরী পোশাক খাতসহ শিল্প খাতে বিনিয়োগ করে জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা জনতা ব্যাংক দেউলিয়া হতে বসেছে।
আওয়ামী লীগের নেতারা ব্যাংক থেকে থেকে কোটি কোটি টাকা বের করে নিয়েছেন। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণিজ্যিক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানই ব্যাংক থেকে বের করে নিয়েছেন ২৭ হাজার কোটি টাকা। ব্যাংক খেকো এস আলম বের করে নিয়েছে প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা। এভাবে নাসা গ্রুপের নজরুল ইসলাম মজুমদার, এনন টেক্সসহ ডজন খানেক ব্যবসায়ী ব্যাংকটি থেকে অর্থ বের করে আর ফেরত দিচ্ছেন না।
শুধু তা-ই নয়। বছরের পর বছর সুদ পরিশোধ না করে উল্টো তা মওকুফ করে নিয়েছেন।
এভাবেই জনতা ব্যাংক গত এক বছরে লোকসান করেছে ২২ শ’ কোটি টাকা। আর জানুয়ারি থেকে মার্চ তিন মাসে লোকসান করেছে ৯০০ কোটি টাকা।

ফেরত পাঠানোর আতঙ্কে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীরা— দেশ রূপান্তর পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এতি। এখানে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প তার অভিবাসন নীতিকে আরও কঠোরভাবে কার্যকর করতে শুরু করেছেন।
এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশি অভিবাসীদের ওপর। মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে এ পর্যন্ত কয়েক ধাপে ইতিমধ্যে ৩১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এ সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নতুন এ অভিবাসন নীতির ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। যেসব বাংলাদেশির বৈধ কাগজপত্র নেই বা যাদের ভিসার মেয়াদ পেরিয়ে গেছে তারা কেউ কেউ এখন আত্মগোপনে চলে গেছেন। বাংলাদেশি মালিকানাধীন অনেক দোকান ও রেস্তোরাঁয় কর্মচারী সংকট দেখা দিয়েছে।
এ অবস্থায় আতঙ্ক ও আইনি জটিলতা এড়াতে এখনই প্রবাসীদের যথাযথ আইনগত প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এ বহিষ্কারের হার অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে আরও কয়েকশ বাংলাদেশিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো হতে পারে।

তার ওপর ভর করেই দীর্ঘায়িত হয় তাদের শাসনকাল। তাই এ প্রথা থেকে বের হয়ে আসতে গঠন করা হয় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। নানা বিচার-বিশ্লেষণ শেষে চার মাস পর তাদের প্রতিবেদন জমা পড়ে।
সরকারকে জনমুখী করতে জবাবদিহিমূলক, দক্ষ ও নিরপেক্ষ জনপ্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একগুচ্ছ সুপারিশ দিয়েছে কমিশন। তবে এখনো বৃহৎ পরিসরে সেগুলোর বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি সরকার। এমনকি দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিতেও দেখা যায়নি।
সংশ্লিষ্টরা অবশ্য বলছেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন যেসব সুপারিশমালা প্রণয়ন করেছে, সেগুলো ঐকমত্য কমিশনে যাচাই-বাছাই চলছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গেও চলছে এ নিয়ে আলোচনা। তাদের মতামত নেয়ার পর একটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। সে আলোকেই মূলত সংস্কার কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

এখানে বলা হয়েছে, দেশের ১০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারে বসবাস করা শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কাছ থেকে কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত হারে বাড়িভাড়া না কাটায় দুই অর্থবছরে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ২৬ কোটি টাকার বেশি।
এই ১০ টিসহ ২৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরীক্ষায় ১৮৭টি অনিয়ম পাওয়া গেছে। এসব অনিয়মে মোট আর্থিক ক্ষতি এক হাজার ৪১৪ কোটি ৩৩ লাখ ৩৫ হাজার ৭০১ টাকা।
বাংলাদেশ মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) অধীন শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে এই অনিয়ম ও আর্থিক ক্ষতির চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে ওই টাকা আদায়ের পাশাপাশি দায়ীদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দেখভালের দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ বলেন, “যেসব অনিয়মের কথা হয়েছে, তা আমাদের সময়ের নয়। সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এগুলোর জবাব দেবে। ইউজিসিও এসব আর্থিক অনিয়মকে কোনো প্রশ্রয় দেবে না। বিধি অনুযায়ী আমরাও ব্যবস্থা নেব।”
২৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব সম্পর্কিত ২০২০-২০২১ ও ২০২১-২০২২ অর্থবছরের এই অডিট ইন্সপেকশন রিপোর্ট সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠানো হয়েছে।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে।
